বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
আমাদের এই পিএম ড্রিম আইটি ব্লগার ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আজকের আর্টিকেলের
টাইটেল দেখে বুঝতেই পারছেন যে আজ আমরা কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছি।
হ্যাঁ বন্ধুরা, আজ আমরা আলোচনা করব বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে।
এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানতে পারব যে বরই পাতা আমাদের কি কি কাজে লাগে এবং
এটি ব্যবহার করলে আমাদের কি কি ক্ষতি হতে পারে। তাহলে দেরি না করে মনোযোগ
সহকারে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনার চোখ কপালে উঠে যাবে।
আমাদের আশে পাশে আমরা অনেক বরই গাছ দেখতে পাই। এই বরই এর আরেক নাম হলো কুল। এই
গাছ আমাদের দক্ষিণ অঞ্চলে অর্থাৎ যেসব অঞ্চল উষ্ণ সেইসব অঞ্চলে এই গাছ দেখা
যায়। আর আমাদের দেশের গ্রামের দিকে এই গাছের তো অভাব নেই। আমরা প্রায় কম বেশি
সকলেই বরই খেতে অনেক পছন্দ করি বিশেষ করে মেয়েরা অনেক পছন্দ করে।
তাই আমরা সবাই
বরই এর উপরেই বেশি নজর দিয়ে থাকি। কিন্তু বরই পাতারও যে অনেক গুণ রয়েছে সে
সম্পর্কে আমরা অনেকেই কিছুই জানি না। যার কারণে আমরা বরই পাতা ফেলে দেই বা
জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করে থাকি। আজকে আমরা এই বরই পাতার গুনাগুণ সম্পর্কে
বিস্তারিত জানব। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আমরা বরই পাতা সম্পর্কে অনেক কিছু
জানতে পারব এবং বরই পাতার মর্ম বুঝতে পারব।
আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার
এই বরই পাতা আমাদের শরীরের অনেক রোগ
নিরাময় করতে কাজে লাগে। সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য আমাদেরকে জানতে হবে যে এই
বরই পাতা কিভাবে ব্যবহার করতে হয় বা কিভাবে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া
যাবে। ব্যবহার করা না জানলে আপনার শুধু বরই পাতা ব্যবহার করাই হবে কিন্তু আপনি
এর বিপরীতে কোনো ফল পাবেন না। তাই বরই পাতার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
বরই পাতার উপকারিতা কি কি?
বরই পাতার উপকারিতা কি কি এটা সবার আগে আমাদের জানা উচিত। কোনো জিনিষ ব্যবহারের
আগে আমাদের অবশ্যই জানা উচিত যে জিনিষটা আমাদের কি কি উপকারে আসবে। যদি আমাদের
কোনো উপকারেই না আসে তাহলে সেটি ব্যবহার করে আমাদের কি লাভ তাই না? এই জন্য
আমাদের সবার আগে বরই পাতার উপকারিতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে হবে।
বরই পাতা আমরা কয়েকভাবে ব্যবহার করতে পারব। আমরা চাইলে এটি পেস্ট আকারে ব্যবহার
করতে পারব, চাইলে রস আকারে ব্যবহার করতে পারব, আবার চাইলে আমরা বরই পাতার পানি
ফুটিয়েও ব্যবহার করতে পারব। আমাদের যেভাবে খুশি আমরা এটি ব্যবহার করতে পারব।
আমরা এটি যেভাবেই ব্যবহার করি না কেন এটির কার্যকারিতা কমবে না। এই বরই পাতা
ব্যবহার করলে আমাদের চুলের, ত্বকের এবং স্বাস্থ্যের উপকার হবে।
তাই আমরা চাইলে
আমাদের পছন্দ মতো বরই পাতা ব্যবহার করতে পারব। কোন অবস্থাতে কিভাবে বরই পাতা
ব্যবহার করবেন তা সকল কিছুই আমরা আজ আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাব। শুধুমাত্র
ধৈর্য সহকারে আমাদের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।
বরই পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা
বরই পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা আমরা অনেকেই জানি। আমাদের দেশেই আমরা অনেক
সময় খেয়াল করলে দেখতে পাই যে, যখন আমাদের কেউ মারা যায় তখন সেই মৃত ব্যক্তিকে
বরই পাতার পানি দিয়ে গোসল করানো হয়। এর কারণ হলো বরই পাতার পানি দিয়ে গোসল
করালে শরীরের রোগ জীবাণু সব দূর হয়ে যায়। এই বরই পাতা যখন পানিতে দিয়ে জ্বাল
দেওয়া হয় তখন এই পাতার সাথে থাকা একটি আঠালো পদার্থ বের হয়ে পানির সাথে মিশে
যায়। তখন পানিটি জীবাণুমুক্ত হয়ে যায়। সেজন্য সেই পানি দিয়ে মৃত ব্যক্তিকে গোসল
করালে পোকা মাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করা যায়।
শুধু মৃত মানুষকে বরই পাতা দিয়ে গোসল করালে উপকার হয় তা কিন্তু নয়। আমরা যারা
জীবিত আছি, আমরাও চাইলে এই বরই পাতা দিয়ে গোসল করতে পারব। এই পাতার মধ্যে
অ্যান্টিসেপ্টিক নামে একটি উপাদান বিদ্যমান আছে যার সাহায্যে আমাদের শরীরের সকল
রোগ জীবাণু সরে যায়। এখন প্রশ্ন হলো আমরা কিভাবে এটি ব্যবহার করব তাই না? এটি
ব্যবহার করতে হলে আমাদেরকে যা করতে হবে তা হলো-
- প্রথমে আমাদেরকে এক থেকে দুই মুঠ বরই পাতা নিতে হবে এবং সেগুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধূয়ে নিতে হবে। পাতা নেওয়ার সময় আমাদেরকে অবশ্যই ভালো পাতা গুলো নিতে হবে। ভাইরাসে আক্রান্ত পাতা বা কুঁচকানো পাতা নেওয়া যাবে না।
- পরিষ্কার করা পর একটি পাত্রে পানি নিয়ে সেটাতে সেই পরিষ্কার করা বরই পাতা দিয়ে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। যখন পানি ফুটতে শুরু করবে তখন ভালো ভাবে ফুটিয়ে জ্বাল বন্ধ করে দিতে হবে।
- তারপর পানিটি ঠান্ডা করতে হবে। পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে সেই পানি দিয়ে আমাদেরকে গোসল করতে হবে তাহলে আমাদের শরীরের রোগ জীবাণু ধ্বংস হয়ে যাবে।
এভাবেই আমরা প্রতিদিন বা সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন এই বরই পাতার ফুটানো পানি
ব্যবহার করে গোসল করতে পারি।
চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার
চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার এর বিকল্প নেই। চুলকানি ভালো করতে এই বরই পাতা
অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আমাদের অনেক সময় নিজেরদের অসচেতনতার ফলে শরীরে
চুলকানি উঠে। এবং অনেক চুলকাতে থাকে। রাত্রে শান্তিমতো ঘুম হয় না। আবার মাঝে
মধ্যে এমন স্থানে চুলকানি হয় যে কাউকে মুখ ফুটে বলতেও পারি না। এমতাবস্থায় আমরা
এই বরই পাতা ব্যবহার করতে পারি। এই বরই পাতা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আমরা খুব কম
সময়ে অনেক আরাম পাব।
চুলকানি কমাতে বরই পাতা ব্যবহার করতে হলে আমাদেরকে এক মুঠ বরই পাতা নিয়ে
পরিষ্কার পানি দিয়ে পরিষ্কার করে গোসলের পানিতে দিয়ে ২০ মিনিটের মতো জ্বাল দিয়ে
পানি ফুটিয়ে সেই পানি ঠান্ডা করে গোসল করতে হবে। তাহলে আমাদের শরীর থেকে রোগ
জীবাণু দূর হয়ে যাবে এবং আমরা আগের তুলনায় অনেক শান্তি পাব। সপ্তাহে আমরা যদি
এই পানি দিয়ে দুই থেকে তিনদিন গোসল করতে পারি তাহলে দেখবে এক থেকে দেড় সপ্তাহের
মধ্যেই আমরা ভালো ফলাফল লাভ করব।
শরীর চুলকানি ছাড়াও আমাদের মাঝে মধ্যে হালকা গলা চুলকায়। এই হালকা গলা চুলকানিও
আমরা এই বরই পাতার মাধ্যমে ভালো করতে পারব। তবে এক্ষেত্রে একটু ভিন্ন পদ্ধতিতে
আমাদেরকে এই বরই পাতা ব্যবহার করতে হবে। এর জন্য আমাদেরকে কয়েকটি ভালো বরই পাতা
নিতে হবে এবং সেটি পরিষ্কার পানিতে পরিষ্কার করে সিলপাটাতে বা ব্লেন্ডারে বেটে
সেখান থেকে রস বের করতে হবে। সেই রস একটু করে খেলে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে
দেখবেন আপনার গলায় সেই চুলকানি ভাবটা আর থাকবে না। এই বরই পাতার রস খেলে আমাদের
গলার শ্বাসনালি অনেক পরিষ্কার থাকে ফলে কোনো রকম সমস্যা দেখা দেয় না।
বরই পাতার উপকারিতা চুলের জন্য
বরই পাতার উপকারিতা চুলের জন্য অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের
অনেকেরই কমন একটি সমস্যা রয়েছে সেটি হলো চুল পড়া। অনেকেই অনেক পদ্ধতি অবলম্বন
করি কিন্তু কোনো ফলাফল পাই না। আমরা চাইলেই এই বরই পাতার সঠিক ব্যবহার করে আমরা
আমাদের চুলকে আরো ভালো ও উজ্জ্বল করে তুলতে পারি। আমরা আমাদের এই চুল পড়াকে
থামাতে দুইভাবে বরই পাতাকে ব্যবহার করতে পারি। এক হলো বরই পাতার পেস্ট তৈরি করে
এবং দুই হলো বরই পাতার পানি ব্যবহার করে। আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি যে বরই
পাতার পানি কিভাবে তৈরি করতে হয়। এই পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব কিভাবে আমরা বরই
পাতার পেস্ট তৈরি করতে পারি এবং তা চুলে ব্যবহার করতে পারি। তাহলে চলুন কিভাবে
বরই পাতার পেস্ট তৈরি করবেন তা জেনে নেই-
আরো পড়ুনঃ ভাতের মাড় খাওয়ার নিয়ম
বরই পাতার পেস্ট তৈরি করার জন্য আমাদেরকে প্রথমেই কয়েকটি ভালো মানের বরই পাতা
গাছ থেকে নিব। ভাইরাস বা কুঁচকানো পাতা নিব না। সেগুলো নিলে আমাদের শরীরে আরো
নতুন সমস্যা তৈরি হতে পারে সেজন্য সেগুলো পাতা নেওয়া থেকে দূরে থাকব। ভালো
মানের পাতা নেওয়ার পর সেগুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে
সিলপাটায় বেটে নিতে হবে বা আপনার বাসায় যদি ব্লেন্ডার থেকে থাকে তাহলে আপনি
ব্লেন্ডার দিয়েও পিষে নিতে পারেন।
পিষে নেওয়া হলে সেটি পেস্ট এর মতো দেখাবে,
সেই পেস্ট মাথায় চুলের গোড়া থেকে ভালো করে গোটা চুলে মেখে নিতে হবে। চুলে
লাগিয়ে নেওয়ার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে
ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে দুই তিন দিন পর পর ব্যবহার করে দেখুন তাহলেই দেখবেন
যে আপনার চুল আগের থেকে অনেক উজ্জ্বল এবং চুলের গোড়া অনেক শক্ত ও মজবুত হয়ে
গিয়েছে। এই পেস্ট আপনার শুধু চুলের গোড়াই শক্ত করবে না বরং আপনার মাথায় যদি
খুশকি থেকে থাকে তাও দূর করে দিবে এবং আপনার মাথার ত্বককে রাখবে অনেক
স্বাস্থ্যবান। এই বরই পাতার পেস্ট এর সাথে আপনি যদি গরম নারিকেল তেল ব্যবহার
করেন তাহলে আপনি আরো ভালো ফলাফল পাবেন।
বরই পাতার উপকারিতা এলার্জি
বরই পাতার উপকারিতা এলার্জি এর ক্ষেত্রেও রয়েছে। আমাদের অনেকের শরীরে এলার্জি
রয়েছে। এর জন্য আমরা অনেক কিছু থেকে দূরে থাকি। বরই পাতা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে
পারলে আমাদের শরীরের এলার্জিও অনেক অল্প সময়ে ভালো হয়ে যাবে। এলার্জি মানেই হলো
কোনো কিছু থেকে দূরে থাকা অর্থাৎ যেটি আমাদের শরীরে সহ্য হয়ে না সেটিই আমাদের
শরীরে এলার্জির সৃষ্টি করে। যেমন অনেকে গরুর মাংস খেলে এলার্জি হয় আবার অনেকের
মসুরির ডাল খেলে এলার্জি হয় ইত্যাদি।
এই বরই পাতার পানি দিয়ে আপনি নিয়মিত গোসল
করলে এবং এই বরই পাতার রস প্রতিদিন একটু করে খেলে আপনার এলার্জি ধীরে ধীরে ভালো
হতে থাকবে। তবে আপনার যদি অনেক আগে থেকেই এলার্জি থেকে থাকে তাহলে আপনার এই বরই
পাতা কাজ নাও করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে
হবে। আবার বরই পাতা ব্যবহারের ফলে আপনার শরীরে যদি নতুন করে এলার্জি বা লাল
ফোলা ভাব হয় তাহলে আপনি বরই পাতা খাওয়া বন্ধ করে দিন এবং তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের
পরামর্শ নিন।
বরই পাতার রস খেলে কি হয়?
বরই পাতার রস খেলে কি হয় এই সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি বরই পাতা ব্যবহার করে
অনেক উপকৃত হবেন। বরই পাতার রস খেলে আপনার শরীরের ভেতরের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
এবং আপনি আগের তুলনায় অনেক বেশি আরাম বোধ করবেন। আমাদের অনেকেরই হালকা হাঁপানি
রোগ থাকে। তারা যদি এই বরই পাতার রস প্রতিদিন নিয়ম করে একটু একটু করে খাওয়ার
অভ্যাস গড়ে তোলে তাহলে তাদের এই হালকা হাঁপানি রোগ ভালো হয়ে যেতে পারে। তবে
আপনার যদি অনেক আগে থেকেই হাঁপানি থেকে থাকে তাহলে আপনার এই বরই পাতা কাজ নাও
করতে পারে। বরই পাতার রস খেলে আরো কি কি হতে পারে তা হলো-
- বরই পাতার রস খেলে আপনার গলার হালকা চুলকানি ভাব বা হালকা হাঁপানি ভালো হয়।
- এই রস খেলে আপনার শ্বাসনালী পরিষ্কার থাকবে এবং আপনি ভালো মতো শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারবেন।
- আপনার শরীরে যদি নতুন ভাবে এলার্জি হয় তাহলে এই রস খেলে আপনি অনেক আরাম পাবেন।
- বরই পাতার রস খেলে আপনার হজম শক্তি অনেক গুনে বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার লিভারের সমস্যা সমাধান হবে এবং লিভারের কাজ করার শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
- বরই পাতার রস খেলে আপনার মাথার ত্বক ভালো থাকবে এবং আপনার চুলের গোড়া অনেক শক্ত ও মজবুত হবে।
- এই রস খেলে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহয্য করবে। কারণ এই বরই পাতার রস আমাদের শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে যার ফলে আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- বরই পাতার রস আপনি যদি চায়ের সাথে পান করেন তাহলে আপনার শরীরের ভেতরের সকল রোগ জীবাণু বের হয়ে যাবে।
- বরই পাতার রস খেলে আপনার শরীরের রক্ত পরিষ্কার থাকবে এবং আপনার যদি গ্যাস বা আলসারের মতো সমস্যা থাকে তাহলে আপনি অনেক আরাম পাবেন।
- যাদের চর্মরোগ আছে তাদের জন্য এই বরই পাতার রস অনেক উপকারী।
- এছাড়াও আপনি যদি এই বরই পাতার রস খাওয়া বাদ দিয়ে আপনার ত্বকে লাগান তাহলে আপনার ত্বকের ব্রণ, ফুসকুড়ি, কালো দাগ সব দূর হয়ে যাবে এবং আপনার ত্বককে করবে আরো উজ্জ্বল।
- আবার আপনি যদি এই বরই পাতার রস না করে যদি বেটে আপনার ক্ষত স্থানে লাগান তাহলে আপনি দেখবেন যে আপনার ক্ষত স্থানটি অনেক দ্রুত শুকিয়ে গিয়েছে।
কুল পাতার অপকারিতা
কুল পাতার অপকারিতা এর থেকে কুল বা বরই পাতার উপকারিতা অনেক রয়েছে যেটি সম্পর্কে আমরা
ইতোমধ্যে জেনে গিয়েছি। বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা একেবারে যে নেই সেটি বললেও ভুল হবে। এটির ভালো মন্দ দুটি দিকই বিদ্যমান রয়েছে। আর সেই সাথে আমরা জানি যে প্রায় সব কিছুরই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমরা চাইলেই আমাদের ইচ্ছামত সবকিছু ব্যবহার করতে
পারিনা। তেমনি এই কল পাতা ব্যবহার করতে গেলেও আমাদের কিছু বিষয়ে সচেতন থাকতে
হবে। যেগুলো বিষয়ের ক্ষেত্রে আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে সেগুলো হলো-
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়
- অতিরিক্ত বরই পাতার রস খেলে আমাদের পেটে গ্যাসের প্রভাব বৃদ্ধি পেতে পারে।
- আমাদের শরীরে যদি আগে থেকেই এলার্জি থেকে থাকে তাহলে এই বরই পাতার ব্যবহার খুব কম আকারে করব। তা না হলে এলার্জি অনেক বেড়ে যেতে পারে।
- যারা গর্ভবতী মহিলা রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এই বরই পাতা ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ এটি খাওয়ার ফলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। তবে আপনি চাইলে এই বরই পাতা আপনার চুলের যত্নে বা ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন।
- এছাড়াও আপনি যখন কুল পাতা ব্যবহার করবেন তখন অবশ্যই দেখে শুনে ভালো মানের পাতা সংগ্রহ করবেন এবং ব্যবহার করবেন। অনেকেই আমরা না দেখেই ভাইরাসে আক্রান্ত পাতা বা কুঁচকানো পাতা নিয়ে ব্যবহার করা শুরু করি এতে করে আমাদের শরীরে নতুন রোগ বাসা বাঁধে। সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।
- পাতা সংগ্রহ করার পর অবশ্যই তা ভালো পানিতে সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তা না হলে সেখান থেকে রোগ জীবাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
শেষ কথাঃ বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেলে অনেক কিছুই জানতে ও
বুঝতে পারলাম। আমরা এখন চাইলেই আমাদের শরীরের ঘাটতি অনুযায়ী এই বরই পাতা
ব্যবহার করতে পারব। কারণ আমরা এই পোস্টে আলোচনা করলাম যে বরই পাতা কিভাবে
ব্যবহার করা যেতে পারে এবং কি কি উপকার পাওয়া যেতে পারে। তবে এই আর্টিকেলের
মধ্যে আমার যে বিষয়টি ভালো লেগেছে সেটি হলো- বরই পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা।
কারণ এই পদ্ধতিটি একেবারে সহজ এবং নিরাপদ এবং কার্যকরী একটি পদ্ধতি। তাই আপনি
চাইলেই এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন।
আমাদের এই পোস্টটি অনেক ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
জানাই। আশা করি আজকের এই পোস্ট থেকে আপনি অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পেরেছেন।
আমাদের সাইটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয় ছাড়াও অনলাইন ইনকাম, ব্যবসা,
ক্যালেন্ডার, তথ্য ও প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে নিয়মিত নিত্য নতুন পোস্ট পাবলিশ
করা হয়। তাই আপনি চাইলে আমাদের এই পিএম ড্রিম আইটি ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখতে
পারেন। তাহলে আপনি সবার আগে আমাদের নতুন আপডেট পোস্টটি পেয়ে যাবেন। আবারো
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আজকের মতো জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি।
পি এম ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url