মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

আপনি কি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চান? কিন্তু বুঝতে পারছেন না যে কিভাবে শুরু করবেন? আপনার কাছে কি ফ্রিল্যান্সিং শেখার মতো কোনো ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ নেই? ভাবছেন যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো।
মোবাইল-দিয়ে-ফ্রিল্যান্সিং-কিভাবে-শিখবো
আপনার সকল সমস্যার সমাধান করতেই আজকে আমরা আপনার জন্য এই আর্টিকেলটি পাবলিশ করেছি। আপনি যদি সত্যিই বাড়িতে বসে অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাহলে মনোযোগ দিয়ে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

আমরা অনেকেই চিন্তা করি যে ফ্রিল্যান্সিং মনে হয় ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ছাড়া করা যায় না বা ফ্রিল্যান্সিং করতে ল্যাপটপ লাগবেই। কিন্তু আজকের এই আর্টিকেল পড়ে আপনি জানতে পারবেন যে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়াও আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক তরুণ তরুনী তাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে। চাইলে আপনিও তাদের মতো ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আমরা তো ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চায় কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে প্রথমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। শুরুতে আপনাকে শুধুমাত্র বেসিক জানতে হবে। এবং সেই অনুযায়ী আপনাকে একটি বিষয় বা সেক্টর নির্বাচন করতে হবে। আপনি যে সম্পর্কে ভালো বুঝতে পারবেন সেই সম্পর্কেই ফ্রিল্যান্সিং শেখা শুরু করবেন তাহলে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কি-ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়

ফ্রিল্যান্সিং কি-ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। ফ্রিল্যান্সিং মানে হলো আপনি কারো কাজ চুক্তিভিত্তিক একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়ে করে দিবেন। এখানে আপনাকে কাজ করার জন্য কেউ বাধ্য করবে না। আপনার ইচ্ছা হলে কাজ করবেন আর না হলে করবেন না। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি স্বাধীন পেশা।
ফ্রিল্যান্সিং এ আপনি অনেক ধরনের কাজ পাবেন। যেমন- ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। এগুলো কাজ সম্পর্কে আপনাকে শুরুতে বেসিক ধারণা নিতে হবে তারপরে একটি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে কাজ শিখবেন। তাহলে আপনি দ্রুত সফল হতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কেমন ধরনের মোবাইল প্রয়োজন?

ফ্রিল্যান্সং করার জন্য খুব বেশি ভালো মোবাইল ফোনের দরকার হবে না। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শিখতে চান তাহলে আপনার সাধারণ ফোন হলেই হবে। আর আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ভালো ফোন দরকার হবে। অর্থাৎ আপনার কাজের ধরণ অনুযায়ী আপনাকে ফোন কিনতে হবে। 
তবে আপনার ফোনে সর্বনিম্ন ৬ জিবি র‍্যাম থাকলেই যথেষ্ঠ। আপনার কাছে যদি একটি নরমাল স্মার্ট ফোন থেকে থাকে তাহলে আপনি সেই ফোন দিয়েই শুরুতে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং শেখা হলে আপনি একটু ভালো মানের মোবাইল ফোন কিনবেন তাহলেই হবে। তবে ফ্রিল্যান্সং শেখার জন্য আপনার সাধারণ মোবাইল থাকলেই হবে।

মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি কাজের নাম নির্বাচন

মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি কাজের নাম নির্বাচন করতে হবে। কারন আপনি চাইলেই সকল নিয়ে কাজ করতে পারবেন না। একেকটি সেক্টরে কাজের ধরন একেক ধরনের। তাই আপনার কাছে যেই সেক্টরটি সহজ মনে হবে সেটিই আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। অনেকই আছে যারা কাজ সম্পর্কে কোনো ধারণা না নিয়ে মানুষের কথায় যে কোনো একটি কাজে লেগে পড়ে এবং তখন সেটি কঠিন মনে হলে তাদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি ঘৃণা জন্মায়। এজন্য আগে সকল কাজ সম্পর্কে ধারণা নিন তারপরে আপনার জন্য কোনটি ভালো হবে সেই সেক্টরটি বেছে নিবেন তাহলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে সফল হতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন কাজগুলো হলো-
      • কন্টেন্ট রাইটিং
      • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট
      • ওয়েব ডিজাইন
      • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
      • গ্রাফিক্স ডিজাইন
      • ভিডিও এডিটিং
      • এফিলিয়েট মার্কেটিং
      • অনলাইনে ছবি বিক্রয় করা
      • সিপিএ মার্কেটিং
      • ডাটা এন্ট্রি
উপরের কাজগুলো আপনি চাইলেই মোবাইল ফোন দিয়ে করতে পারবেন। আপনার সুবিধার্থে সকল কাজের কিছু বেসিক ধারণা আপনাকে দেই তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা অনেক সহজ হয়ে উঠবে।

কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করবেন যেভাবে

আমরা অনেকেই আছি কোনো কিছুর উপরে লেখালেখি করতে ভালোবাসি। কিন্তু জানিনা যে আমাদের এই লেখালেখির প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করবেন যেভাবে এই বিষয়টি নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করব। কন্টেন্ট রাইটিং মানে হলো কোনো বিষয়ের উপরে বিস্তারিত কিছু লিখা। যেমন আপনার যদি ব্যক্তিগত কোনো ব্লগার ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি আপনার সেই ব্লগার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করতে পারেন। 
মোবাইল-দিয়ে-ফ্রিল্যান্সিং-কিভাবে-শিখবো
আবার আপনার যদি কোনো ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে আপনি অন্য কারো ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে ইনকাম করতে পারেন। মোবাইলের মাধ্যমে এই কাজ করতে হলে আপনাকে আপনার ফোনে Google Docs, WPS office, Microsoft office word, Notepad ইত্যাদি অ্যাপস ডাউনলোড করে এর ব্যবহার জানতে হবে। আর এই ধরনের কাজ পেতে হলে আপনাকে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল ওয়েবসাইটের স্মরণাপন্ন হতে হবে। যেমন- Freelancer, Upwork, Fiverr, People per hour ইত্যাদি। এছাড়াও আপনি ফেসবুকে কন্টেন্ট রাইটিং রিলেটেড পেজে বা Group এ যুক্ত হবেন এবং সেখানে আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য কাজের অফার পাবেন।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হয়ে যেভাবে ইনকাম করবেন

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হয়েও আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। এই কাজ তুলনামূলক ভাবে অনেক সহজ হয়ে থাকে। এই কাজগুলো করার জন্য আপনাকে ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে একাউন্ট খুলে কাজ খুজতে হবে। অনেক মানুষ আছে যারা ব্যস্ততার কারণে নিজের কাজ করতে পারেনা। তখন তারা তাদের কাজের জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে। 
এখানে আপনাকে আপনার ক্লাইন্টের সারা দিনের কর্মকান্ড রুটিং আকারে নোট করে রাখতে হবে। তাদের কোনো স্ক্রিপ্ট দরকার হলে সেগুলো লিখে দিতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত ইমেইল চেক করতে হবে এবং রিপ্লাই দিতে হবে। এই কাজগুলো আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়েই করতে পারবেন।

ওয়েব ডিজাইন করে যেভাবে ইনকাম করবেন

বর্তমান সময়ে ওয়েব ডিজাইন এর চাহিদা অনেক। আপনি যদি ধৈর্য ধরে এই ওয়েব ডিজাইনের কাজ শিখতে পারেন তাহলে আপনি মাসে এই কাজ করে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েব ডিজাইনের কাজ বলতে ওয়েবসাইটের ডিজাইন বুঝায়। অর্থাৎ ওয়েবসাইটের যত রকম ডিজাইন রয়েছে সব ডিজাইন সম্পৃক্ত কাজ হলো এই ওয়েব ডিজাইন। তবে আপনি যদি এই কাজ আপনার মোবাইল দিয়ে করতে চান তাহলে আপনি সকল কাজ করতে পারবেন না। আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে আপনি ছোট ছোট কাজ করতে পারবেন।
অর্থাৎ যেগুলো ডিজাইন HTML এবং CSS দিয়েই করা যায়। সেগুলো কাজ আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে করতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি কাজ করা মোবাইল দিয়ে সম্ভব হয়ে উঠে না। এই কাজগুলো শেখার জন্য আপনি ইউটিউওবে অনেক ভিডিও পাবেন যেগুলো দেখলে আপনি সহজেই কাজটি শিখতে পারবেন। আরেকটি বেস্ট মাধ্যম হলো w3school । এটি একটি ওয়েবসাইট যেটির সাহায্যে আপনি সহজেই ওয়েবসাইট ডিজাইনের কাজ শিখতে পারবেন। এই সাইটে ওয়েবসাইটে ডিজাইন করতে যে সমস্ত কোড প্রয়োজন হয় সকল কোড এই সাইটে দেওয়া আছে। আপনি চাইলে এই ওয়েবসাইটটি গুগলে সার্চ করে ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে ইনকাম করবেন যেভাবে

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে ইনকাম করবেন যেভাবে- এই কথাটি ভেবে মনে হতে পারে যে আমি কি ফেসবুকের কথা বলছি নাকি। হ্যাঁ ফেসবুকের মতোই আরো যেগুলো সোশ্যাল মিডিয়া আছে যেমন- ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, লিঙ্কডিন, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি। এখন প্রশ্ন হলো এগুলোতে কি কাজ করব? অনেক ক্লাইন্ট আছে যারা তাদের ব্যবসাকে বা কোনো সার্ভিসকে মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে একাউন্ট খুলে এবং তার ব্যবসা বা সার্ভিস সম্পর্কে প্রচার করে। 
সেই কাজটি করার জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত সময় থাকে না সে জন্য তারা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করার জন্য নিয়োগ দিয়ে থাকে। এখানে কাজ হলো আপনাকে প্রতিদিন নিয়মিত তাদের প্রডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে পোস্ট করতে হবে এবং গ্রাহক যদি কোনো কিছু জানতে চায় সেই সম্পর্কে তাদেরকে জানাতে হবে। এই কাজগুলো পাওয়ার জন্য আপনাকে ইন্টারন্যাশনাল ওয়েবসাইটে গিয়ে ক্লাইন্ট খুজতে হবে। আর আপনি যদি লোকাল ক্লাইন্ট এর কাজ করতে চান তাহলে আপনি বিভিন্ন ফেসবুক Group এর মাধ্যমে ক্লাইন্ট খুজতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন

মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করেও টাকা ইনকাম করা সম্ভব। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদাও অনেক রয়েছে। বাংলাদেশে অনেক মানুষ এই গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনেক টাকা ইনকাম করছে। মানুষ তাদের ব্যবসার জন্য অনেক বিজনেস কার্ড, ব্যনার, লগো, কাভার ফটো ডিজাইন করতে চায়। সেই কাজগুলো চাইলে আপনি আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি মোবাইলের মাধ্যমে এই কাজগুলো করেন তাহলে আপনাকে একটি ভালো মানের মোবাইল ফোন কিনতে হবে। 
তা না হলে কাজ করার সময় আপনার মোবাইল স্লো হয়ে যাবে বা হ্যাং হয়ে যাবে। এই কাজগুলো শেখার জন্য আপনি ইউটিউবে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারেন। এই কাজ শিখতে একটু বেশি সময় লাগে কারণ এক ধরনের কাজে আপনাকে অনেক টুল সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

ভিডিও এডিটিং করে যেভাবে ইনকাম করবেন?

ভিডিও এডিটিং করেও আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে এর চাহিদা অনেক। মানুষ বর্তমানে ভিডিওর প্রতি অনেক আগ্রহী হয়ে উঠছে। আপনি যদি এই ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন তাহলে আপনি প্রতিদিন ছোট ছোট ভিডিও এডিটিং করে ১৫ থেকে ২০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন প্রোমোশন রিলেটেড ভিডিও তৈরি করেও ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 
এই ভিডিও এডিটিং শিখতে হলে আপনি ইউটিউব চ্যানেলে অনেক ভিডিও আছে সেগুলো দেখে ভিডীও এডিটিং শিখতে পারেন। বর্তমানে সবথেকে জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপস আছে যেটির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ভিডিও এডিট করতে পারবেন একদম ফ্রিতে। এই অ্যাপস এর নাম হলো Capcut । এই অ্যাপস দিয়ে বর্তমানে অনেক মানুষ ভিডিও এডিট করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায়

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে। এই কাজ করতে হলে আপনার খুব বেশি কাজ জানার প্রয়োজন হবে না। কারণ এই কাজের মাত্র একটি লক্ষ্যই রয়েছে সেটি হলো বিক্রয় বৃদ্ধি করা। আপনি যত বেশি পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন আপনার তত বেশি ইনকাম হবে। এই কাজের জন্য আপনার প্রথম দিকে কোনো ধরনের বিনিয়োগ করার প্রয়োজন নেই। 
আপনি কোনো প্রকার টাকা ইনভেস্ট করা ছাড়াই এই কাজের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনাকে শুধু মাত্র একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে এবং সেই পেজ এ আপনার পণ্য সম্পর্কে প্রচার করার মাধ্যমে বিক্রয় বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলে কোম্পানি আপনাকে সেই বিক্রয়ের উপর নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন দিবে। সেটিই আপনার ইনকাম হবে। এই কাজটি আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়েই সহজে করতে পারবেন।

অনলাইনে ছবি বিক্রয় করে ইনকাম

অনলাইনে ছবি বিক্রয় করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি ভালো ছবি তুলতে পারেন বা আপনার যদি শখ থাকে ছবি তোলা। তাহলে এই কাজটি আপনার জন্য বেস্ট একটা কাজ হবে। এই জন্য অবশ্যই ছবি তোলার জন্য আপনার কাছে ভালো মানের একটি ক্যামেরা থাকতে হবে এবং সেটিকে একটু এডিট করার সামর্থ্য আপনার থাকতে হবে। তাহলে আপনি এই কাজ করে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 
এখন আপনার মধ্যে প্রশ্ন আসতে পারে যে আপনি ছবি তুলবেন কিন্তু বিক্রয় করবেন কোথায়? তাই না। এই প্রশ্নের উত্তর হলো বর্তমানে অনেক মার্কেটপ্লেস আছে যেগুলোতে ছবি খুব ভালো দামে কেনাবেচা হয়ে থাকে। আবার অনেক ফেসবুক Group আছে যেগুলোতে ছবি কেনাবেচা হয়। আপনি চাইলে সেগুলোতে যুক্ত হয়ে থাকতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার একটা নিজেস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আপনার ভালো ছবিগুলো আপলোড করে সেটির মার্কেটিং করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সিপিএ মার্কেটিং করে ইনকাম করুন ঘরে বসে

সিপিএ মার্কেটিং করে ইনকাম করুন ঘরে বসে। বর্তমানে অনেক ছাত্র ছাত্রী আছে যারা এই কাজ করে মাসে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করছে। এই কাজ করাটা অনেক সহজ। এই কাজ আপনি আপনার মোবাইল ফোন দিয়েই করে নিতে পারবেন। অনেকে হয়ত এই কাজের নাম শুনে থাকবেন কিন্তু এই কাজের ধরনটা কেমন সেটা জানেন না। আমরা অনেক সময় কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে দেখতে পাই যে একটি ফর্ম পূরণ করতে বলে। 
এই ফরম পূরণ করিয়ে নেওয়াকেই মূলত সিপিএ মার্কেটিং বলে। অর্থাৎ আপনি কোনো প্রতিষ্ঠানের হয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে মার্কেটিং চালাবেন এবং মানুষকে তাদের রিয়েল ইনফরমেশন দিয়ে ফরম পূরণ করার জন্য আগ্রহী করে তুলবেন। এই কাজ শিখতে হলে আপনি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও দেখলেই শিখতে পারবেন।

ডাটা এন্ট্রি করে ইনকাম করবেন যেভাবে

ডাটাএন্ট্রি করে ইনকাম করেও ভালো টাকা ইনকাম করা যায়। বর্তমানে এই কাজেরও অনেক চাহিদা রয়েছে কারণ এই ডাটা এন্ট্রি প্রত্তেকটা প্রতিষ্ঠানেই দরকার হয়। আর এই কাজ অন্যান্য কাজের তুলনায় অনেক সহজ। আপনি চাইলেই এই কাজ খুব কম সময়ের মধ্যেই শিখতে পারবেন এবং কাজ শুরু করে দিতে পারবেন। এই কাজ শেখার জন্য আপনাকে পেইড কোনো কোর্স করতে হবে না। 
আপনি ইউটিউব চ্যানেলেই অনেক অনেক ভালো ভালো ভিডিও পেয়ে যাবেন। সেগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখলেই আপনি ডাটা এন্ট্রিতে এক্সপার্ট হয়ে যাবেন। আর এই ধরনের কাজ পাবার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরি করে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম-ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করাটা বর্তমানে একটা শখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আপনার এই শখকে পেশায় পরিণত করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হবে। ফ্রিল্যন্সিং কোথায় শিখব বা কোথায় শিখলে আমি বা আপনি ভালো মতো কাজ শিখতে পারবেন এটি জানা অনেক জরুরী। আমরা অনেকেই অনেক জায়গায় কোর্স করি কিন্তু কোর্স শেষ হওয়ার পরে কোনো কাজ করতে পারি না। এই জন্য ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখার জন্য আপনি ইউটিউবে সার্চ করতে পারেন। ইউটিউবে অনেক চ্যানেল আছে যেগুলোতে আপনি অনেক ফ্রি ভিডিও পেয়ে যাবেন। সেই ভিডিও গুলো দেখে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর যাত্রা শুরু করতে পারেন। 
তবে আপনি যদি একটু ইংরেজী ভাষা বুঝতে পারেন তাহলে আপনার জন্য সকল কোর্স একেবারে উন্মুক্ত। আপনি ফ্রিতেই অনেক কোর্স করতে পারবেন। যেগুলো মনোযোগ দিয়ে করলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ দক্ষ হয়ে যাবেন। এছাড়া আপনি ফেসবুকে আপনার নির্বাচন করা বিষয় ভিত্তিক Group এ যুক্ত হবেন। তাহলে সেগুলোতেও আপনি ফ্রিতে অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন। তারা ফ্রি কোর্স করিয়ে কাজ শিখিয়ে তাদের টিমে কাজ করার জন্য নিয়ে থাকে। আবার আপনি চাইলে গুগলে সার্চ করে বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট পড়েও ফ্রিল্যান্সিং এর সকল কাজ শিখতে পারবেন। আর আপনার যদি সামর্থ থাকে তাহলে আপনি কিছু পেইড কোর্স কিনে নিতে পারেন তাহলে আপনি যখন খুশি তখন সময় করে পেইড কোর্সের ভিডিও দেখে কাজ শিখতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কি না

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কি না এ সম্পর্কে অনেক মানুষের অনেক প্রশ্ন থাকে। অনেকে আবার বিশ্বাস করতে চায় না যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। বর্তমানে অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি খুব সহজেই আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে কি কি কাজ করতে পারবেন তা আমরা ইতোপূর্বে আলোচনা করেছি। 
 উপরে উল্লেখিত সকল কাজ আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে করতে পারবেন কিন্তু কিছু কিছু কাজ আছে যেগুলো আপনি সম্পূর্ণ করতে পারবেন না। সম্পূর্ণ কাজ করার জন্য আপনার অবশ্যই ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকতে হবে। কারণ আপনি যদি সেই কাজগুলো আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে করতে চান তাহলে আপনার অনেক সময় লেগে যাবে। এতে করে আপনি সময় মতো কাজ জমা দিতে পারবেন না এবং আপনার প্রোফাইলে খারাপ রিভিও চলে আসবে। 
ফলে আপনি পরবর্তীতে কাজ পাওয়ার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলবেন। এজন্য আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে ছোট ছোট কাজ করতে হবে। মোবাইল দিয়ে আপনি অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। তবে প্রথম অবস্থায় আপনি আপনার হাতে থাকা ফোন দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং এর যাত্রা শুরু করতে পারেন। তারপর কাজ করতে করতে আপনার যখন অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে তখন আপনি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিনতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স আছে কি না এ নিয়ে অনেকেরই জানার আগ্রহ থাকে। মোবাইল দিয়ে আপনি সহজেই ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে পারবেন। আপনার কাছে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ না থাকে তাহলে আপনার দ্বারা পেইড ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে যাবে। এজন্য আপনি ইউটিউবকে বেস্ট মাধ্যম হিসেবে নিতে পারেন। ইউটিউবে অনেক ধরনের ফ্রি টিউটরিয়াল পেয়ে যাবেন যেটির সাহায্যে আপনি খুব ভালোভাবে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে পারবেন। 
তবে আপনি যদি ইংরেজী ভাষা বুঝতে পারেন তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং শেখাটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। কারণ ইংরেজী টিউটরিয়ালে আপনি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে খুঁটিনাটি সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারবেন। যারা ইংরেজী ভাষা বোঝে তাদের জন্য ইউটিউবে অনেক ভিডিও আছে যেটির মাধ্যমে তারা ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবে। আর আপনি যদি ইংরেজীতে দূর্বল হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বাংলা দিয়ে যেগুলো ভিডিও আছে সেগুলো দেখতে পারবেন। 
মোবাইল-দিয়ে-ফ্রিল্যান্সিং-কিভাবে-শিখবো
তবে বর্তমানে বাংলা দিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে সেরকম ভিডিও পাবেন না। তাহলে এখন প্রশ্ন হলো আপনি কিভাবে বা কার কাছ থেকে শিখবেন তাই না? আমার কাছে একটি বেস্ট অপশন আছে এই ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য। আপনার কাছে যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে তাহলেই আপনি আমার দেখানো পথে ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। আপনি আপনার ফোনে এআই অ্যাপ ডাউনলোড করে সেখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে খুঁটিনাটি সকল বিষয় শিখতে পারবেন। এআই এর মধ্যে জনপ্রিয় হলো চ্যাটজিপিটি। আপনি এই চ্যাটজিপিটিকে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে যা ইচ্ছা জিজ্ঞাসা করবেন সে আপনাকে সকল উত্তর দিয়ে দিবে। বা আপনি গুগলে সার্চ করে বিভিন্ন ব্লগ পড়েও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে ধারণা নেওয়াসহ শিখতে পারবেন।

একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব

একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কি? একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং বলতে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ করাকে বোঝায়। অনলাইন জগতে এই কাজেরও অনেক চাহিদা রয়েছে। তবে আপনি যদি হিসাব বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করে থাকেন তাহলে আপনার দ্বারা এই কাজ করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। কারণ এগুলো কাজ করতে হলে আপনাকে হিসাব রক্ষণ, জাবেদা, রেওয়ামিল, চুড়ান্ত হিসাব সহ কম্পিউটারে বিভিন্ন সফটওয়্যারের ব্যবহার জানতে হবে।
তাহলেই আপনি এই একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে পারবেন। একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে আপনাকে পাঠ্যপুস্তক এর পাশাপাশি অনলাইনে বিভিন্ন ভিডিও দেখে অনেক অনুশীলন করতে হবে। তাহলেই আপনি এই একাউন্ট ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। এই কাজ একবার শিখতে পারলে আপনি খুব কম সময়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনি যদি অংকতে দূর্বল হয়ে থাকেন তাহলে এই কাজ থেকে দূরে থাকাই ভালো হবে। ফ্রিল্যান্সিং জগতে আরো অনেক কাজ আছে যেগুলো অনেক সহজ। সেগুলো কাজ করে আপনি ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই আর্টিকেলটি পড়ে আশা করছি আপনি অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ে সেই মতো অনুশীলন করলে আপনি অবশ্যই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। অনেক মানুষ আছে যারা ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চায় কিন্তু শিখতে শিখতে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। আপনিও যদি তাদের মতো ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন তাহলে আপনি সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন না। তাই ধৈর্য সহকারে সৎভাবে লেগে থাকুন।
আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আমাদের আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এরকম আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন। আমরা এই ওয়েবসাইটে অনলাইন ইনকাম, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, তথ্য প্রযুক্তি, ক্যালেন্ডার, বাংলাদেশী ব্যবসা ইত্যাদি বিষয়ে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। তাই এ ধরনের তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের সাথে এতক্ষন থাকার জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পি এম ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url