ফ্রিল্যান্সিং জগতে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি
আমাদের অনেকেরই স্বপ্ন থাকে যে নিজের বাড়িতে বসে নিজের ইচ্ছা মতো সময় করে কাজ
করব এবং টাকা ইনকাম করব। কিন্তু বুঝতে পারছি না যে কোন কাজগুলো করব বা কোন কাজ
করলে খুব দ্রুত সফলতা অর্জন করা যাবে। তাদের কথা চিন্তা করেই আজকের এই
আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে।
এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন যে ফ্রিল্যান্সিং
জগতে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি? কোন সেক্টরে কি কি কাজ রয়েছে? কোন কাজটি শিখলে এবং করলে খুব
দ্রুত সফল হতে পারব? তাহলে চলুন আলোচনাটা শুরু করা যাক-
পোস্ট সূচিপত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং জগতে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি
- ফ্রিল্যান্সিং জগতে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি?
- ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কেন করবেন?
- ফ্রিল্যান্সিং কাজের সুবিধা অসুবিধা কি কি?
- ফ্রিল্যান্সিং জগতে কতগুলো সেক্টর রয়েছে বা হতে পারে?
- গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি কি কাজ জানতে হয়?
- ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং এটি করতে কি কি কাজ শিখতে হয়?
- ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন কি এবং এটির মধ্যে কোন কোন কাজ অন্তর্ভুক্ত?
- ভিডিও এডিটিং কি ও কিভাবে করতে হয়?
- বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি এবং কেন?
- ফ্রিল্যান্সিং করতে কেমন ধরণের কম্পিউটার প্রয়োজন?
- শেষ কথাঃ ফ্রিল্যান্সিং জগতে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি
ফ্রিল্যান্সিং জগতে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি?
ফ্রিল্যান্সিং জগতে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি এ বিষয়ে আমাদের
অনেকেরই প্রশ্ন থেকেই যায়। আমরা অনেকেই চায় বাড়িতে বসে কাজ করে ডলার ইনকাম
করতে। কিন্তু ভেবে পায় না কোন কাজটি শিখব, কোন কাজটি শিখলে দ্রুত টাকা ইনকাম
করতে পারব। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলোর চাহিদা
মার্কেটপ্লেসে অনেক। তার মানে আপনাকে যে সব কাজই শিখতে হবে এমনটা নয়।
আমরা
পৃথিবীতে অনেক মানুষ বাস করি কিন্তু সকলের বোঝার ক্ষমতা একরকম হয় না। কেউ একটু
বেশি বোঝে আবার কেউ একটু কম বোঝে। এখন আপনার বোঝার ক্ষমতা কতটুকু এটা আপনাকে
নির্ধারণ করতে হবে। আপনি যে বিষয়টি ভালো বুঝতে পারবেন এবং খুব তাড়াতাড়ি নিজের
আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারবেন। সেই বিষয়টি নিয়েই আপনি আপনার যাত্রা শুরু করবেন। আশা
করি আপনাকে ভালো ভাবে বোঝাতে পেরেছি।
ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কেন করবেন?
ফ্রিল্যান্সিং জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর জানার আগে আপনাকে জানতে হবে যে
ফ্রিল্যান্সিং কি? এবং কেন করবেন? ফ্রিল্যান্সিং এর সংজ্ঞা দেবার আগে আমরা একটা
উদাহরণের মাধ্যমে আপনাকে একটু বোঝানোর চেষ্টা করি। মনে করেন আপনি একটি অফিসে
কর্মরত আছেন। আপনি অফিসে সকাল ০৯ঃ০০ টায় প্রবেশ করেন এবং যা কাজ থাকে সবই করেন।
বিকাল ০৫ঃ০০ টা বাজলে আপনার ছুটি হয়ে যায়। অর্থাৎ আপনি সরাসরি আপনার অফিসে গিয়ে
কাজ করে আসেন। এবার সেই একই কাজ যদি আপনাকে আপনার বাড়িতে বসে থেকে করতে বলা হয়
এবং আপনি আপনার পছন্দ মতো সময় বের করে অফিসের কাজ সম্পন্ন করে জমা দেন। তাহলে
সেটাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলা হবে।
অর্থাৎ আপনি আপনার বাসায় বসে থেকে আপনার
ক্লাইন্টের কাজ সম্পন্ন করে জমা দেওয়াকেই বোঝায়। এই কাজটি সম্পূর্ণ অনলাইন
নির্ভর। অনলাইন ছাড়া এই কাজটি করা যায় না। এটির জন্য অবশ্যই আপনার নিজের ডিভাইস
এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। না হলে আপনি আপনার বাসায় বসে এই কাজটি করতে
পারবেন না। আশা করি ফ্রিল্যান্সিং কি এই বিষয়টি আপনার কাছে পানির মতো পরিষ্কার
হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
এবার কেন ফ্রিল্যান্সিং করবেন? এই বিষয়ে একটু আলোচনা করা যাক। আমরা অনেকেই আছি
যারা বিভিন্ন অফিস আদালতে কাজ করে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। আবার অনেকেই
আছি যারা অনেক পড়াশুনা করেও কোনো কাজের সন্ধান করতে পারিনি। তাদের জন্যই মূলত
এই আর্টিকেল্টি লিখা। আমাদের দেশ আয়তনে অনেক ছোট কিন্তু এর জনসংখ্যা অনেক। যার
কারণে কর্মসংস্থানের অভাবে অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়ে আছে। অনেকে আবার দেশের
বাইরে যেতে চাইলেও টাকার অভাবে যেতে পারছে না।
এখন চিন্তা করেন আপনি যদি আপনার
নিজের বাড়িতে বসে থেকে বিদেশের অফিসের কাজকর্ম করতে পারেন তাহলে বিষয়টি কেমন
হতো। নিশ্চয়ই ভালো হতো। আপনি যদি এই ধরনের কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে এই
ফ্রিল্যান্সিং বেছে নিতে হবে। আবার যারা অফিস আদালতে কাজ করে তাদের মধ্যে
অনেকেই একটু বিরক্তি ভাব করে বা শ্রম অনুযায়ী মজুরী পান না। তাদের জন্য মূলত এই
ফ্রিল্যান্সিং সাইটটি বেস্ট হবে।
ফ্রিল্যান্সিং কাজের সুবিধা অসুবিধা কি কি?
ফ্রিল্যান্সিং কাজের সুবিধা অসুবিধা বলতে গেলে আসলে ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা
অনেক রয়েছে। যেমন-
- আপনি নিজের বাসায় বসে থেকে কাজ করতে পারবেন।
- আপনার ইচ্ছামত সময় নির্ধারণ করে কাজ করতে পারবেন।
- কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই আপনি আপনার কষ্টের টাকা বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে আনতে পারবেন। এতে করে আপনি দেশের জন্য একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা হয়ে উঠবেন।
- আপনি চাইলে একাধিক কোম্পানির সাথে কাজ করতে পারবেন এবং অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অসুবিধার কথা বলতে গেলে আপনি যখন কোনো কাজ ধরবেন তখন সময়ের মধ্যে যদি না করতে
পারেন তাহলে আপনার একাউন্টে খারাপ রিভিও আস্তে পারে। আপনি যদি ইংরেজী ভাষা না
জানেন তাহলে আপনি বিদেশী কোম্পানির সাথে কাজ করতে পারবেন না। এছাড়া আর তেমন
কোনো অসুবিধা নেই বললেই চলে। তাহলে আপনি যদি চান এবং আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত
পরিমাণে সময় থাকে এই ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখার, তাহলে আপনি আজই শিখতে
পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং জগতে কতগুলো সেক্টর রয়েছে বা হতে পারে?
ফ্রিল্যান্সিং জগতে কতগুলো সেক্টর রয়েছে বা হতে পারে এটাও জানার বিষয়। আপনাকে
প্রত্যেকটি সেক্টর সম্পর্কেই অল্প অল্প করে ধারণা রাখতে হবে। তা না হলে কাজের
ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু সমস্যার মুখোমুখী হতে হবে। কারণ আপনি যখন বিভিন্ন মার্কেট
প্লেসে কাজ ধরবেন বায়ারদের কাছ থেকে তখন যদি আপনি বুঝতে না পারেন যে সেই কাজটি
কোন ক্যাটাগরির তাহলে আপনি কাজ ধরতে পারবেন না। কাজ পাওয়া তো দূরের কথা, আপনি
বায়ারকে কাজ সম্পর্কে বোঝাতেই পারবেন না। এজন্য সমস্ত সেক্টর সম্পর্কে একটু
আধটু ধারনা রাখতেই হবে।
মূলত ফ্রিল্যান্সিং জগতে ৪টি সেক্টর রয়েছে। সেগুলো হলো-
১.গ্রাফিক্স ডিজাইন
২.ডিজিটাল মার্কেটিং
৩.ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন
৪.ভিডিও এডিটিং
বর্তমান বাজারে এইগুলোর ডিমান্ড অনেক রয়েছে। কিন্তু আপনি চাইলেই এই সবগুলো
শিখতে পারবেন না। কারণ এইগুলো একেকটা ভিন্ন ভিন্ন সেক্টর। এই সবগুলো সেক্টর
শিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই অনেক মেধাবী হতে হবে। আর আপনি যদি সেই লেভেলের মেধাবী
না হন তাহলে এর মধ্যে থেকে যে কোনো একটি সেক্টর বেছে নিতে পারেন এবং শিখতে
পারেন। নিচে আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য প্রত্যেকটি বিষয়ই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা
করব। যাতে করে আপনি আপনার ক্যারিয়ারের জন্য একটি বেস্ট সেক্টর বেছে নিতে
পারেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি কি কাজ জানতে হয়?
গ্রাফিক্স ডিজাইনের নাম শুনে বুঝতেই পারছেন যে কাজটা কতটা সৃজনশীল মনোভাব নিয়ে
করতে হবে। এই গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে অনেক ধরনের কাজ বিদ্যমান রয়েছে। আপনি এই
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখলে অনেক ধরনের কাজ করতে পারবেন। মনে করুন আপনি একটি ব্যবসা
শুরু করবেন। তাহলে ব্যবসার পরিচিতির জন্য অবশ্যই আপনার একটি প্রফেশনাল মানের
লোগো থাকতে হবে। কারণ বিশ্বে অনেক ব্যবসা থাকতে পারে যেগুলোর নাম একই ধরনের।
কিন্তু তাদের লোগোটা কখনও এক হবে না। এই লোগো সকল প্রতিষ্ঠানের থেকে একটু হলেও
আলাদা হয়ে থাকে। আর এজন্যই এটির মাধ্যমে একটি ব্যবসা ব্রান্ডে পরিণত হয়।
এরপরে আসি কাভার ফটোতে। এই কাভার ফটো প্রফেশনাল মানের করতে হলে আপনাকে অবশ্যই
গ্রাফিক্স ডিজাইন জানতে হবে তা না হলে আপনি কাভার ফটোর সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে
পারবেন না। তখন সেই কাভার ফটো আপনার ব্যবসার জন্য দৃষ্টি নন্দন না হয়ে দৃষ্টি
কটু হয়ে দাঁড়াবে।
তারপর আপনার ব্যবসার প্রচারণা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিজনেস কার্ড, বিভিন্ন
ধরনের ব্যানার, বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, এনভেলপ, বিক্রিত পণ্য থাকলে সেটির মোড়ক
ইত্যাদি। আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এই কাজগুলো আপনাকে করতেই হবে। তাহলে
চিন্তা করুন আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখেন তাহলে আপনার কতটা উপকার হতে পারে।
এই কাজের বর্তমানে অনেক চাহিদা থাকলেও বিভিন্ন ধরনের এআই টুলস দিয়ে খুব সহজেই
মানুষ তৈরি করে ফেলতে পারে। কিন্তু তার পরেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এআই এর কাজ
আপনার মনের মতো হয় না। যার কারণে এআই ব্যবহার করে সময় নষ্ট করা বাদ দিয়ে অনেক
প্রতিষ্ঠানের মালিক ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে থাকে। যার কারণে বর্তমানে এর
চাহিদা ব্যাপক রয়েছে। আপনি চাইলেই এই কাজটি শিখতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং এটি করতে কি কি কাজ শিখতে হয়?
ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে কোনো ব্যবসা বা পণ্য বা কোনো ওয়েবসাইট এর প্রচারণার
মাধ্যমে এর প্রসার বৃদ্ধি করাকে বোঝায়। আপনাকে শুরুতে যে ব্যবসার উদাহরণ
দিয়েছিলাম। সেই উদাহরণ দিয়েই বোঝায় তাহলে আপনার জন্য অনেক ভালো হবে। আপনি
শুরুতে আপনার ব্যবসার জন্য লোগো বানালেন, কাভার ফটো বানালেন, বিজনেস কার্ড,
ব্যানার ইত্যাদি বানালেন। কিন্তু আপনার এই ব্যবসাকে মানুষের দ্বারে দ্বারে
পৌছায় দিবে কে? এটা ভাববার বিষয়। আপনাকে ব্যবসার প্রচারণার জন্য আপনাকে অবশ্যই
একজন প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটারের কাছে যেতে হবে। কারণ একমাত্র সেই পারবে
আপনার ব্যবসাকে মানুষের কাছে পৌছে দিতে।
আরো পড়ুনঃ
একজন ডিজিটাল মার্কেটারকে জানতে হয়
কিভাবে একটা ব্যবসাকে প্রচার করতে হবে, কিভাবে অনলাইনে মার্কেটিং করতে হবে,
কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করতে হবে, কিভাবে একটি ব্যবসার জন্য এসইও করতে
হবে। কিভাবে গুগলে এড চালাতে হবে ইত্যাদি। অর্থাৎ আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং
শিখেন তাহলে আপনি আপনার ব্যবসাকে মানুষের কাছে খুব সহজেই পৌছে দিতে পারবেন। এই
কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে মানুষের চাহিদা সম্পর্কে জানতে হবে। বুঝতে হবে
মানুষ কি চাইছে। তাহলে আপনি এই কাজ খুব সহজেই করতে পারবেন। এই কাজটি অন্যান্য
কাজের থেকে অনেক সহজ। আপনি চাইলেই এই কাজটি অল্প সময়ের মধ্যে শিখে টাকা ইনকাম
করা শুরু করে দিতে পারেন।
ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন কি এবং এটির মধ্যে কোন কোন কাজ অন্তর্ভুক্ত?
ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন বলতে ওয়েব রিলেটেড বা ওয়েবসাইট রিলেটেড কাজকর্ম গুলোকে
বোঝায়। এই ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে অনেক ধরনের কাজ থাকে। যেমন- আপনি যদি
ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন যে যখন আপনি কোনও বিষয়ে গুগলে
সার্চ করবেন তখন অনেক ধরনের ওয়েবসাইট আপনার ব্রাউজারে দেখতে পাবেন। তার মধ্যে
যে কোনো একটি ওয়েবসাইটে ঢুকলে দেখতে পাবেন অনেক ধরনের ফিচার। যেগুলো আপনাকে সেই
ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করতে সাহায্য করে। যেমন অনেক সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের মেনু
বার, বাটন, সার্চ বার, লগ ইন পেজ ও বিভিন্ন রকমের ফর্ম দেখতে পায়। এগুলোকে
ওয়েবসাইটের ফ্রন্টএন্ড বা ক্লাইন্ট সাইড বলা হয়। এগুলো খুবই সাধারণ কোডিং
(html,css,javascript ইত্যাদি) দিয়ে তৈরি করা হয়।এবার আপনি যখন সেই ওয়েবসাইট
গুলোতে ফর্ম পূরণ বা কোনো অর্ডার করবেন তখন আপনার দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই বাছাই
করার প্রয়োজন পড়ে। সেই কাজগুলো দেখভাল করার জন্য আরো কিছু প্রোগ্রামিং করা হয়।
এগুলো প্রোগ্রামিং করার জন্য php,python.node.js ইত্যাদি অনেক শক্তিশালী কোড
ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই কাজগুলোকে ব্যাকএন্ড বা সার্ভার সাইড বলে।
ফর্ম পূরন করার সময় আপনি যে সমস্ত তথ্য দিয়েছিলেন সেই সমস্ত তথ্য যাচাই বাছাই
করা হলে সেটি সংরক্ষণ করা হয়। এই সংরক্ষনের জন্য আবার আলাদা কোডিং ব্যবহার করা
হয়। ওয়েবসাইটগুলো সাধারণত ইউজার প্রোফাইল, কোনো ইকমার্স ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার
করলে তার হিস্টোরি, বা বিভিন্ন ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট এর ডেটাগুলো সংরক্ষণ করে
থাকে। এর জন্য mysql, mongodb ইত্যাদি কোডিং ব্যবহার করা হয়। এই সেকশনের
কাজগুলোকে বলা হয় ডাটাবেস।
এখন ওয়েবসাইটের আরেকটি গুরুত্ব পূর্ণ সেকশন নিয়ে আলোচনা করা যাক। আপনি যে
ওয়েবাসাইটে ফর্ম পূরণ করলেন সেই ফ্রন্টএন্ড এবং ওয়েবসাইটের যে সেকশন আপনার তথ্য
যাচাই বাছাই করল সেই সেকশন অর্থাৎ ব্যাকএন্ড সেকশনের মধ্যে ডেটা আদান প্রদান
হয়। এই আদান প্রদানকে API (application programming interface) বলা হয়। এর
মাধ্যমেই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়ে থাকেন।
এখন প্রশ্ন হলো আপনি যে তথ্যগুলো ওয়েবসাইটগুলোতে দিয়ে থাকেন সেই সমস্ত
তথ্যসমূহের নিরাপত্তা থাকে কি না। এর উত্তর হলো হ্যাঁ। আপনার দেওয়া সমস্ত তথ্য
অনেক বিশ্বস্ততার সহিত সংরক্ষন করা হয়ে থাকে। এই সেকশনকে নিরাপত্তা ও
অথেনটিকেশন বলা হয়। এর মধ্যে ssl,jwt ইত্যাদি কোডিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যার
মাধ্যমে আপনার তথ্যগুলো এনক্রিপশন ও ডিসক্রিপশন হয়ে থাকে। যে সমস্ত ওয়েবসাইট
বিশ্বস্ত সহকারে পরিচালনা করা হয় সেই সমস্ত ওয়েবসাইটে উপরিউক্ত বিষয়গুলো অনেক
গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করা হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের
কাজটি কত গুরুত্ব সহকারে শিখতে হয়। এই কাজে যেমন জটিলতা আছে তেমন ইনকামও আছে।
এই কাজটি শিখলে আপনি অনায়াসেই যে কোনো ওয়েবসাইটের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন
এবং খুব সহজেই নিজের পছন্দ মতো ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
ভিডিও এডিটিং কি ও কিভাবে করতে হয়?
ভিডিও এডিটিং নাম শুনেই বুঝতে পারছেন যে এই সেকশনের গুরুত্ব কতটুকু।
বর্তমানে এই ভিডিও এডিটিং এর অনেক চাহিদা রয়েছে। কারণ আমরা আমাদের দেশে প্রায়শই
দেখতে পায় যে অনেক মানুষ আছে যারা ভিডিও দেখে এক কথায় এই পৃথিবীতে এমন একটা
মানুষ পাওয়া যাবে না যে সে ভিডিও দেখে না। পৃথিবীতে বসবাসরত প্রত্যেকটি মানুষই
ভিডিও দেখে থাকে। এই ভিডিও এডিটিং একটি সৃজনশীল কাজ। আপনার মধ্যে যদি সৃজনশীলতা
না থাকে তাহলে আপনি একটি ভিডিওকে সুন্দর ও আকর্ষনীয় করে তুলতে পারবেন না। আর
আকর্ষনীয় করে না তুলতে পারলে আপনার ভিডিও কেউ দেখতে চাইবে না। তাই এই কাজ করতে
হলে আপনাকে অবশ্যই সৃজনশীল হতে হবে। একটি ভিডিওকে পূর্নাঙ্গ রুপ দিতে অনেক
ধরনের কাজ করতে হয় যেমন-
আরো পড়ুনঃ
প্রথমত আপনাকে একটি সুন্দর স্ক্রিপ্ট লিখতে হবে। এই স্ক্রিপ্টই হলো একটি ভিডিওর
প্রাণকেন্দ্র। এই স্ক্রিপ্ট যদি আপনার ভালো না হয় তাহলে আপনি আপনার ভিডিওকে
ফুটিয়ে তুলতে পারবেন না। স্ক্রিপ্ট লিখা হলে আপনাকে এর চরিত্র সম্পর্কে ভাবতে
হবে। তারপর এর জন্য বিভিন্ন ভাবে ভিডিও শুট নিতে হবে। শুট নেওয়া হলে আপনাকে সেই
ভিডিও ফুটেজগুলো যাচাই বাছাই করতে হবে। যেগুলো প্রয়োজন আছে সেগুলো রেখে
বাকিগুলো কেটে দিতে হবে। তারপর আপনাকে সকল ক্লিপকে সুন্দর ও সঠিকভাবে আপনার
স্ক্রিপ্ট অনুসারে একটার পর একটা সাজাতে হবে। সাজানো হলে এক ক্লিপ থেকে অন্য
ক্লিপে সাবলীল ভাবে যাওয়ার জন্য ট্রানজিশন ব্যবহার করতে হবে।
এরপর আপনাকে
ভিডিওটি ফুটিয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের কালার, ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে। যখন
দেখবেন যে আপনার ভিডিও অনেক সুন্দর লাগছে তখন আপনাকে আপনার তৈরি করা ক্রিপ্ট
দিয়ে সুন্দর ও মিষ্টি করে একটি অডিও সেট করতে হবে। এখানে আপনি আপনার ভয়েসওভারও
করতে পারবেন। ভয়েস ওভার হয়ে গেলে আপনাকে দেখতে হবে কোন জায়গায় স্লো মোশন কোন
জায়গায় ফাস্ট মোশন যুক্ত করলে ভালো লাগবে। সেই কাজগুলো করবেন। এছাড়াও
গ্রাফিক্স, এ্যানিমেশন, ভিডিওর মুড অনুযায়ী কালার গ্রেডিং ব্যবহার করতে পারেন।
যা আপনার ভিডিওকে আরো অর্থবহ করে তুলবে। সমস্ত কাজ শেষ হলে আপনাকে ভিডিওটি
পাবলিশ করতে হবে। এই কাজগুলোও তুলনামূলক ভাবে সহজ কিন্তু শুধুমাত্র আপনাকে
সৃজনশীল হতে হবে। তাহলেই আপনি এই কাজের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন।
বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি এবং কেন?
বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি এবং কেন এই প্রশ্নটি আমাদের সকলের মনেই
থেকে যায়। আমরা চিন্তা করি যে কোন কাজটি শিখলে আমার জন্য ভালো হবে বা কোন কাজটি
শিখলে আমি খুব দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পারব, বা কোন কাজটি তুলনামূলকভাবে সহজ
ইত্যাদি হরেক রকমের প্রশ্ন আমাদের মনে ঘুরপাক খায়। আমরা বুঝে উঠতে পারি না যে
আমরা কি শিখব বা কোন সেক্টরে কাজ করব। আপনাদের সকল সমস্যার সমাধান আমরা এখানে
দেওয়ার চেষ্টা করব। উপরে উল্লেখিত সকল সেক্টর সম্পর্কে আপনি যদি পড়ে থাকেন
তাহলে আশা করি আপনি সকল সেক্টর সম্পর্কে একটু আধটু হলেও জানেন। উপরে চারটি বিষয়
নিয়ে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। এই সেক্টরগুলো হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব
অ্যাপ্লিকেশন বা ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ভিডিও এডিটিং।
এই সেক্টর গুলোর মধ্যে আমাদের মতে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরটি শেখা আপনার
জন্য বেস্ট চয়েস হবে। কারণ এই সেক্টরের কাজ অন্যান্য সেক্টরের তুলনায় অনেক সহজ।
এবং এই সেক্টরে আপনি খুব দ্রুততার সাথে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। এই সেক্টরে
কাজগুলো করে আপনি মাসে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এটি শিখতে অনেক কম
সময় লাগে। এই সেক্টরে যে সমস্ত কাজগুলো রয়েছে সেগুলো আশা করি আপনি খুব ভালোভাবে
পড়েছেন ও বুঝেছেন। আপনার যদি ব্রেইন ক্যাপাসিটি খুব বেশি ভালো না হয় বা আপনি
বেশি কিছু বুঝতে পারেন না বা মনে রাখতে পারেন না। তাহলে আপনার জন্য এই সেক্টরটি
বেস্ট হবে বলে আমরা মনে করি। এটি শুধু আমরা বলছি বলে নয় আপনি একটু যাচাই বাছাই
করে দেখুন তাহলেই বুঝতে পারবেন যে কোন কাজটা তুলনামূলকভাবে সহজ।
ফ্রিল্যান্সিং করতে কেমন ধরণের কম্পিউটার প্রয়োজন?
ফ্রিল্যান্সিং করতে কেমন ধরণের কম্পিউটার প্রয়োজন এই প্রশ্নটি খুবি কমন একটি
প্রশ্ন। আপনি কেমন ধরণের কাজ করবেন সেটির উপরে আপনার কম্পিউটারের ধরন নির্ভর
করবে। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান এবং কাজ করতে চান তাহলে আপনার খুব
হাই কোয়ালিটির কোনো ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ প্রয়োজন নেই। এর জন্য আপনার সর্বনিম্ন
প্রসেসর থাকতে হবে ২.৫০ গিগাহার্স এর বেশি। র্যাম ৮ জিবি হলেই হয় এবং এসএসডি
সি ড্রাইভ হতে হবে।
আর আপনি যদি ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে চান তাহলে
আপনার ৬ জিবি র্যাম হলেই হবে। এটি শুধুমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য। কারণ
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে বেশি হাই রেজুলেশনের কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করার
প্রয়োজন পড়ে না। যার কারণে কম রেজুলেশনের ডিভাইস থাকলেই আরামে কাজ করা যায়। এবং
আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন করতে চান তাহলে
আপনাকে আরো হাই রেজুলেশনের ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কিনতে হবে। তা না হলে আপনি কাজ
করার সময় অনেক সমস্যার মুখমুখি হবেন।
শেষ কথাঃ ফ্রিল্যান্সিং জগতে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি
ফ্রিল্যান্সিং জগতে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি? আশা করি এই
আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারনা লাভ করতে পারবেন। এছাড়াও কোন কাজে
কেমন ধরণের ব্রেইন ক্যাপাসিটি দরকার, আপনি পারবেন কি না বা আপনার দ্বারা কোন
কাজটি ভালো হবে। এই সমস্ত বিষয়ে জানতে পেরেছেন। আর যদি আপনি কোনো একটি বিষয়
ভালোভাবে না বুঝে থাকেন তাহলে আপনি পোস্ট সূচিপত্রতে গিয়ে নির্দিষ্ট টপিকে
ক্লিক করুন এবং ভালো করে পড়ে নিন।
পি এম ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url