আপনার ওয়েবসাইটে ব্যাকলিঙ্ক পাবার নিনজা টেকনিক

আমরা অনেকেই সখ করে বা প্রোফেশনাল ভাবে নিজের ভবিষ্যতের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করি এবং পরিচালনা করে থাকি। কিন্তু ওয়েবসাইটের র‍্যাংকিং এর জন্য বা ভিজিটর বৃদ্ধি করার জন্য কোন কোন পন্থা অবলম্বন করতে হবে সেটি আমাদের অনেকেরই অজানা।
আপনার-ওয়েবসাইটে-ব্যাকলিঙ্ক-পাবার-নিনজা-টেকনিক
কিভাবে, কোথায় থেকে, কিসের মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইটে ব্যাকলিঙ্ক আনতে হয় সেটি আমরা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক যে আপনার ওয়েবসাইটে ব্যাকলিঙ্ক পাবার নিনজা টেকনিক গুলো কি কি-

পোস্ট সূচিপত্রঃ আপনার ওয়েবসাইটে ব্যাকলিঙ্ক পাবার নিনজা টেকনিক

আপনার ওয়েবসাইটে ব্যাকলিঙ্ক পাবার নিনজা টেকনিক

আপনার ওয়েবসাইটে ব্যাকলিঙ্ক পাবার নিনজা টেকনিক অনেকগুলোই রয়েছে। সব গুলো টেকনিকের মধ্যে যেগুলো বেশি কার্যকর সেগুলো আমরা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব। ব্যাকলিঙ্ক কি? কিভাবে পাবেন? এই সব গুলো বিষয় নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে। ব্যাকলিঙ্ক আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ভাবে নিতে পারি।
আপনি অন্য কোনো ওয়েবসাইট থেকে যদি আপনার ওয়েবসাইটের কোনো লিঙ্কের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে পারেন তাহলে সেই লিঙ্ককে ব্যাকলিঙ্ক বলা হয়। এই ব্যাকলিঙ্ক আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে সাহায্য করবে। আর আপনার ওয়েবসাইটে যত বেশি ভিজিটর আসবে আপনার ওয়েবসাইট তত বেশি গুগলে র‍্যাংঙ্ক করবে। আর আপনার ওয়েবসাইট যত বেশি র‍্যাঙ্ক করবে আপনার ওয়েবসাইটের ইনকাম তত বেশি বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে একটি ওয়েবসাইট র‍্যাঙ্ক করতে ব্যাকলিঙ্কের ভূমিকা কতটুকু।

আপনার ওয়েবসাইটে রাউন্ডআপ পোস্ট লিখতে হবে

আপনার ওয়েবসাইটে রাউন্ডআপ পোস্ট লিখতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে একটি বিষয়ে পোস্ট লিখার আগে আপনাকে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদেরকে প্রশ্ন করবেন। প্রশ্ন করবেন আপনি যে বিষয় নিয়ে পোস্ট বা আর্টিকেল লিখবেন। সেই বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে তাদের উত্তরগুলো নিবেন এবং সেই প্রশ্নের উত্তর গুলো নিয়ে একটি রাউন্ডআপ পোস্ট লিখবেন। লিখা শেষ হলে তাদেরকে জানাবেন। তখন তারা আপনার পোস্টটি দেখবেন ও পড়বেন। যদি আপনি খুব ভালো করে পোস্টটি লিখতে পারেন তাহলে তারা আপনার এই পোস্টটি পছন্দ করবে এবং তাদের পরিচিত জনদের সাথে বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে একে অন্যের সাথে শেয়ার করবে। যাদের কাছে শেয়ার করবে তারা তাদের কাছে থাকা লিঙ্কের মাধ্যমে আপনার এই পোস্টটি দেখবে। তখন এই পোস্টের জন্য আপনি আপনার ওয়েবসাইটে একটি ভালো মানের অর্গানিক ব্যাকলিঙ্ক পাবেন। এজন্য সবসময় চেষ্টা করবেন রাউন্ড আপ পোস্ট লিখার জন্য।
আরো পড়ুনঃ
এখন প্রশ্ন আস্তে পারে যে আপনি আপনার রাউন্ডআপ পোস্ট লিখার জন্য যে বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন করবেন তাদেরকে কোথায় পাবেন? তাদেরকে পাওয়ার জন্য আপনি একটি লিস্ট তৈরি করতে পারেন। এর জন্য বেস্ট মাধ্যম হবে গুগল। আপনি আপনার বিষয় সম্পর্কিত সকল প্রশ্ন একটি একটি করে গুগলকে করতে পারেন। অথবা আপনার যদি বিশেষ কোনো লিস্ট না থাকে তাহলে আপনি কোরা তে আপনার প্রশ্ন তুলে ধরতে পারেন। তাহলে আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তরগুলি সুন্দর ভাবে পেয়ে যাবেন।
তবে যখন আপনি প্রশ্ন করবেন তখন হুবহু করবেন না। আপনার প্রশ্নটাকে একটু মুডিফাই করে তারপর জিজ্ঞাসা করবেন।
আপনি গুগল থেকে যে বিশেষজ্ঞদেরকে খুঁজে বের করে তাদের একটা লিস্ট তৈরি করে তাদেরকে আপনি ইমেইল পাঠাতে পারেন। ইমেইল লিখার সময় অবশ্যই নিজের হাতে লিখার চেষ্টা করবেন এবং তা বিশেষজ্ঞদের নিকট পাঠাবেন। তাহলে তারা আপনার ইমেইলের রিপ্লাই দিবে। এভাবে আপনি গুগল বা কোরা থেকে প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে একটি রাউন্ড আপ পোস্ট লিখতে পারবেন।

আপনার ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকার পোস্ট লিখুন

আপনার ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকার পোস্ট লিখুন তাহলে আপনার পোস্টটির আউটরিচ অনেক বৃদ্ধি পাবে। এজন্য আপনাকে ব্লগার প্যাশন ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এই ওয়েবসাইটে গেলে আপনি সাক্ষাৎকার পোস্ট লিখার অনেক আইডিয়া পাবেন। এই আইডিয়া গুলো আপনি আপনার পোস্ট লিখা শুরু করতে পারেন। তবে এই পোস্টের শুরুতে আপনাকে নিজেকে সুন্দর করে পরিচয় করিয়ে নিবেন। তাহলে আপনার পরিচিতি এবং আপনার ওয়েবসাইটের পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে। এই ধরনের পোস্টেও অনেক ভিজিটর পাওয়া যায়। এবং এই ধরনের পোস্ট ভালো করে লিখতে পারলে এই ধরনের পোস্ট থেকেও আপনি ভালো মানের ব্যাকলিঙ্ক পাবেন।
এই সাক্ষাৎকার পোস্টের জন্য আপনি ইমেইল, হোয়াটসআপ, ম্যাসেঞ্জার, ভিডিও কল বা অডিও কলের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তাহলে আপনার সাক্ষাৎকারটি অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে। এবং আপনি যদি সরাসরি বিশেষজ্ঞদের সাথে দেখা করতে পারেন তাহলে সেটি আপনার জন্য অনেক শুভকর হবে। আপনার ব্রান্ডিং এর পরিচিতি অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।

আপনার পোস্টে পরিসংখ্যান যুক্ত করুন

আপনার পোস্টে পরিসংখ্যান যুক্ত করুন তাহলে আপনার পোস্টটি আপনার ভিজিটরদের কাছে আরো মূল্যবান হয়ে উঠবে। আপনি যদি ভালো মানের একজন ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে পোস্ট লিখা শুরু করার আগে ভালো করে সমস্ত তথ্য খুটিয়ে খুটিয়ে দেখবেন এবং সমস্ত পরিসংখ্যান অর্থাৎ প্রতিটা বিষয়ের জরিপ করে দেখবেন এবং তা সুন্দর করে আপনার পোস্টে উপস্থাপন করবেন। এবং সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনি যে যে উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন সেই সমস্ত উৎসের লিঙ্ক আপনার ওয়েবসাইটে এক্সটার্নাল লিঙ্ক হিসেবে যুক্ত করবেন।
আপনার-ওয়েবসাইটে-ব্যাকলিঙ্ক-পাবার-নিনজা-টেকনিক
তাহলে অনেক ভিজিটর আপনার দেওয়া লিঙ্ক এর উপর ক্লিক করে তাদের ওয়েবসাইটে যাবে। তখন সেই ওয়েবসাইটের মালিকপক্ষ দেখবেন যে আপনার ওয়েবসাইট থেকে তারা ব্যাকলিঙ্ক পাচ্ছে। তখন তারাও আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করে দেখবে যে আপনার ওয়েবসাইটটা কতটা মানসন্মত এবং কতটা তথ্য সম্পৃক্ত করা আছে। আপনার ওয়েবসাইটে যদি তারা আপডেট তথ্য পেয়ে থাকেন তাহলে তারাও আপনার সাথে ব্যাকলিঙ্ক শেয়ারে একমত পোষণ করবে। তখন আপনিও তাদের ওয়েবসাইট থেকে অর্গানিক ব্যাকলিঙ্ক পাবেন।

আপনার পোস্টে ইনফোগ্রাফিক্স যুক্ত করুন

আপনার পোস্টে ইনফোগ্রাফিক্স যুক্ত করলে আপনার পোস্ট আরো প্রোফেশনাল মানের হবে। এখন প্রশ্ন হলো যে ব্লগিং করতে হলে আবার গ্রাফিক্স ডিজাইন জানতে হবে কি না? এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব-আপনাকে অবশ্যই গ্রাফিক্স ডিজাইন জানতে হবে তবে পুরোটা না জানলেও চলবে। আপনাকে শুধুমাত্র বেসিক বিষয়গুলো জানতে হবে। যেমনঃ যে কোনো ছবি এডিট করা, লেখার বিভিন্ন ডিজাইন করা, ভিডিও এডিটিং করা ইত্যাদি। এই কাজের জন্য বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি ওয়েবসাইট হলো ভিসমি, ক্যানভা, ভ্যানগেজ ইত্যাদি।
আপনি গুগলে খোঁজ করলেই এই সমস্ত ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। এই গুলো দিয়ে আপনি অনায়াসেই আপনার পোস্টে ইনফোগ্রাফিক্স যুক্ত করতে পারবেন। তবে এর জন্য ড্রাগ এন্ড ড্রপ করা যায় এমন টুলস ব্যবহার করা যাবে না। এই ইনফোগ্রাফিক্স গুলো যুক্ত করলে আপনার ওয়েবসাইটটি আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। এছাড়াও আপনি আপনার পরিচিত জন অর্থাৎ যাদের সাথে পরামর্শ করেন পোস্ট লিখার জন্য তাদেরকে আপনার ওয়েবসাইটে ইনফোগ্রাফিক্স যুক্ত করার জন্য অফার দিতে পারেন। তাহলে দেখবেন তারা আপনার ওয়েবসাইটে আরো কিছু ব্যাকলিঙ্ক পেয়ে যাবেন।

আপনার পোস্টে গভীর বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন

আপনার পোস্টে গভীর বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন যাতে করে আপনার পাঠকদের সন্তুষ্টতা প্রকাশ পায়। আপনি যখন কোনো বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে যাবেন তখন চেষ্টা করবেন নরমাল বা বেসিক বিষয় নিয়ে আলোচনা না করার। কারণ বেসিক বিষয়গুলো আলোচনা করলে অনেক সময় পাঠকগণ বিরক্তি প্রকাশ করে। এজন্য সমস্ত বিষয়ের উপর গভীর ভাবে আলোচনা করবেন।
আরো পড়ুনঃ
সেই সাথে আপনি যখন একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখবেন তখন যদি দেখেন যে সেই বিষয়ের তথ্য আপনার ওয়েবসাইটের কোনো পোস্টে বিশদ আকারে আলোচনা করা হয়েছে তখন আপনি সেই পোস্টের লিঙ্ক আপনার ওয়েবসাইটের নতুন পোস্ট অর্থাৎ যে পোস্টটি আপনি লিখতে বসেছেন সেই পোস্টের ভেতরে ইন্টার্নাল লিঙ্ক বা ইনবাউন্ড লিঙ্ক হিসেবে যুক্ত করবেন। আর যদি আপনার ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি অন্য ওয়েবসাইটের পোস্টের লিঙ্ক এক্সটার্নাল লিঙ্ক বা আউটবাউন্ড লিঙ্ক হিসেবে যুক্ত করবেন। এবং সেই সমস্ত ব্লগারদেরকে আপনার লিঙ্ক দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করবেন।

আপনার নিজের একটি কৌশল সৃষ্টি করুন

আপনার নিজের একটি কৌশল সৃষ্টি করুন তাহলে আপনার পরবর্তী কাজের জন্য সৃজনশীলতা বাড়বে। পরিসংখ্যান তৈরি করে তুলনা করা, ইনফগ্রাফিক্স এবং নতুন কোনো বিষয়ের উপর পোস্ট লিখা ব্যাকলিঙ্ক পাওয়ার অসাধারণ কৌশল। তবে আপনি যদি ব্রায়ান ডিনের মতো নতুন এক কৌশল বের করে তার একটি নাম দেন এবং সেই কৌশল অবলম্বন করে ব্যাকলিঙ্ক বের করতে পারেন তাহলে আপনার মতো সৃজনশীল মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়বে।
তখন অন্যান্য যারা ব্লগার আছেন তারা আপনাকে তাদের জীবনের জন্য একটি বড় উদাহরণ হিসেবে দেখবে। এবং তারা তাদের লিখা পোস্টে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক বা কোনো পোস্টের লিঙ্ক আউট বাউন্ড হিসেবে যুক্ত করবেন। তখন আপনি অনায়াসেই আপনার ওয়েবসাইটের ব্যাকলিঙ্ক পেয়ে যাবেন।

আপনার নিজের গবেষণা প্রকাশ করুন

আপনি নিজের গবেষণা প্রকাশ করুন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। তার মানে হচ্ছে আপনি এমন একটি বিষয় নিয়ে স্টাডি করুন যেটা এখন পর্যন্ত কেউ করেনি। এটি করার জন্য আপনাকে আপনার ডিভাইসে থাকা ব্রাউজার দিয়ে সার্চ করে বের করতে হবে। তবে এই সার্চের জন্য উপযুক্ত পন্থা হলো গুগল ট্রেন্ডস এর ব্যবহার। এই গুগল ট্রেন্ডস এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই কোনো বিষয়ের উপর স্টাডি চালাতে পারবেন।
স্টাডি বা গবেষণা করার আগে আপনি অবশ্যই একটি বিষয় নির্বাচন করবেন এবং গুগল ট্রেন্ডস এ গিয়ে সেটি সার্চ করবেন। তাহলে আপনাকে সেই বিষয় সম্পর্কিত সকল তথ্য দেখাবে। সেই তথ্য গুলো নিয়ে আপনি নিজের মতো করে একটি স্টাডি করতে পারেন। সেই সমস্ত তথ্য গুলো একত্র করে বিভিন্ন পাই চার্ট বা গ্রাফ চার্টে তথ্য গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে হবে। তাহলে আপনার এই তথ্যটি অন্যান্য ব্লগারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং তারা আপনার এই পোস্টটি তাদের ওয়েবসাইটে লিঙ্ক আকারে দিবে তখন আপনার ওয়েবসাইটে ব্যাকলিঙ্কের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

আপনার পোস্টে ইন্টার্নাল লিঙ্ক যুক্ত করুন

আপনার ওয়েবসাইটে যদি কোনো ধরনের তথ্যমূলক বা বিশেষ কোনো টুলস সম্পর্কিত কোনো পেজ বা কোনো আর্টিকেল থেকে থাকে তাহলে আপনি সেই পোস্টের লিঙ্ক ইনবাউন্ড বা ইন্টার্নাল লিঙ্ক হিসেবে দিতে পারেন। এতে করে ভিজিটরগণ আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ক্ষণ ধরে থাকবে। এবং আপনার ওয়েবসাইটের র‍্যাংকিং বৃদ্ধি পাবে।
আপনার-ওয়েবসাইটে-ব্যাকলিঙ্ক-পাবার-নিনজা-টেকনিক
সেই সাথে পাঠকদের লক্ষ্য পূরণে দারুণ সহায়তা করে। তারা যখন আপনার এই পোস্ট দেখে অনুপ্রাণিত হবে তখন তারা অন্যকেও এটি ব্যবহারে উৎসাহিত করবে। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটরদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।

গেস্ট ব্লগিং এর মাধ্যমে ব্যাকলিঙ্ক সংগ্রহ করুন

গেস্ট ব্লগিং এর মাধ্যমে ব্যাকলিঙ্ক সংগ্রহ করুন তাহলে আপনি আপনার ওয়েসাইটের জন্য অর্গানিক ব্যাকলিঙ্ক পাবেন। এই গেস্ট ব্লগিং অর্থ হচ্ছে আপনাকে অন্যের ওয়েবসাইটে গিয়ে অতিথি হয়ে পোস্ট লিখে দিতে হবে এবং সেই পোস্টে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিবেন যেটা ব্যাকলিঙ্ক এর কাজ করবে। এখন প্রশ্ন হলো এই ধরনের ওয়েবসাইট আপনি কোথায় পাবেন? এগুলো ওয়েবসাইট পাওয়ার জন্য আপনাকে গুগলে গিয়ে সার্চ করে বের করতে হবে। সেই ওয়েবসাইট খুঁজে পেলে সেই ওয়েবসাইট গুলোর ইমেইল আছে কি না সেটি চেক করবেন। যদি ইমেইল থেকে থাকে তাহলে সেই ইমেইল এর মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন। সেই সাথে তাদের কাছ থেকে অনুমতি নিবেন যে তারা আপনার ওয়েবসাইটের ব্যাকলিঙ্ক করতে দিবে কি না।
এটি অবশ্যই তাদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তাদের অনুমতি ছাড়া যদি তাদের ওয়েবসাইটে নিজের ওয়েবসাইটের ব্যাকলিঙ্ক করেন তাহলে আপনি তাদের কাছে খারাপ হয়ে যেতে পারেন। সেই সাথে তারা আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করতে পারে। তখন সেটি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য খারাপ প্রভাব হতে পারে। এজন্য তাদের অনুমতিক্রমে ব্যাকলিঙ্ক করা উচিত হবে। আপনি এই গেস্ট ব্লগিং এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করে ব্যাকলিঙ্ক সংগ্রহ করতে পারেন। যেমন- ব্লগ লিখার মাধ্যমে, কমেন্টের মাধ্যমে, কোনো ছবি যুক্ত করার মাধ্যমে। এগুলো উপায় অবলম্বন করে আপনি ব্যাকলিঙ্ক সংগ্রহ করতে পারেন। তবে আমার কাছে গেস্ট ব্লগিং এর মাধ্যমে ব্যাকলিঙ্ক করাটা বেস্ট একটা পদ্ধতি মনে হয়। এই উপায়ে ব্যাকলিঙ্ক সংগ্রহ করলে সেই ব্যাকলিঙ্ক অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এবং সেই ব্যাকলিঙ্ক এর ফলে ওয়েবসাইটের পিএ স্কোর বৃদ্ধি পায়।

আপনার ওয়েবসাইটের পোস্টের লিঙ্ক এক্সচেঞ্জ করুন

আপনার ওয়েবসাইটের পোস্টের লিঙ্ক এক্সচেঞ্জ করুন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের ডিএ পিএ বৃদ্ধি পাবে। আপনি চাইলেই অন্যান্য ব্লগারদের সাথে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক বা পেজ এর লিঙ্ক এক্সচেঞ্জ করতে পারবেন। এটি একটু হাই লেভেলের ব্যাকলিঙ্ক হিসেবে কাজ করে। আপনি যদি নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চয় কয়েকটি লিঙ্ক এক্সচেঞ্জ এর রিকোয়েস্ট পেয়ে থাকতে পারেন। আপনার মতোই অনেক ব্লগার আছে যাদের ওয়েবসাইটে ব্যাকলিঙ্ক প্রয়োজন। তারা তাদের পোস্টের লিঙ্ক এক্সচেঞ্জ করতে চায়। অর্থাৎ তারা তাদের ওয়েবসাইটের কোনো পোস্ট এর লিঙ্ক দিবে সেটা আপনার ওয়েবসাইটে ব্যাকলিঙ্ক করতে হবে এবং আপনার ওয়েবসাইট বা কোনো পেজের লিঙ্ক তাদেরকে দিবেন তারা তাদের ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিঙ্ক করে দিবে। এই কৌশলটি অনেক ভালো এবং কার্যকর।
আরো পড়ুনঃ
তবে আপনাকে লিঙ্ক এক্সচেঞ্জ করার জন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা না হলে আপনি গুগল এর নিকট থেকে পেনাল্টি পেতে পারেন। সেই বিষয়গুলো হলো-
আপনি যে ওয়েবসাইটগুলো থেকে ব্যাকলিঙ্ক নিবেন সেই ওয়েবসাইট গুলোর ডোমেইন অথরিটি ও পেজ অথরিটি স্কোর কম আছে না বেশি আছে তা দেখতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো এই ডোমেইন অথরিটি ও পেজ অথরিটি স্কোর কিভাবে চেক করবেন? এই ডোমেইন অথরিটি ও পেজ অথরিটি বা DA/PA স্কোরটি দেখার জন্য আপনাকে href নামে একটি ওয়েবসাইটে গিয়ে সেই ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিয়ে চেক করে দেখতে হবে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন। অর্থাৎ ডোমেইন অথরিটি যদি ৪০ এর নিচে হয় তাহলে আপনার সেই ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক নেওয়া ঠিক হবে না। সেই সাথে আপনাকে দেখতে হবে যে সেই ওয়েবসাইটে প্রতি মাসে কেমন ধরনের ভিজিটর আসে। যদি প্রতি মাসে সেই পরিমাণ ভিজিটর না আসে তাহলে সেই ওয়েবসাইট থেকেও ব্যাকলিঙ্ক গ্রহণ করা হবে না। এই ডোমেইন অথরিটি ও পেজ অথরিটি স্কোর দেখার আর একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেটি অনেক জনপ্রিয়। সেটি হলো Sem rush ।
এগুলো চেক করা ছাড়া আপনি যদি কোনো নতুন ওয়েবসাইট বা যেগুলো ওয়েবসাইটের DA ও PA স্কোর কম সেই ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক নিলে গুগল সেটাকে স্প্যামিং হিসেবে ধরে। এছাড়াও সব থেকে যেটি বড় কথা সেটি হলো আপনার ওয়েবসাইট যে রিলেটেড সেই রিলেটেড ওয়েবসাইট গুলো থেকে ব্যাকলিঙ্ক নেওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনার ব্যাকলিঙ্ক অনেক দিনের জন্য স্থায়ী হবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথরিটি বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষের কাছে এটির বিশ্বাস যোগ্য হয়ে উঠবে। সেজন্য নরমাল ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক নেওয়া উচিৎ হবে না।

শেষ কথাঃআপনার ওয়েবসাইটে ব্যাকলিঙ্ক পাবার নিনজা টেকনিক

আপনার ওয়েবসাইটে ব্যাকলিঙ্ক পাবার নিনজা টেকনিক সম্পর্কে আপনি ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন আশা করি। প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিঙ্ক অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এটিকে অবহেলা করা যাবে না। উপরিউক্ত বিষয় ছাড়াও ব্যাকলিঙ্ক নেওয়ার আরো অনেক মাধ্যম রয়েছে। তবে যেগুলো আলোচনা করা হলো সেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলে র‍্যাঙ্ক করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ব্যাকলিঙ্ক করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
আমাদের PM DREAM IT তে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাদের সাইটে আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে হলে আমাদেরকে অনুসরণ করে আমাদের পাশেই থাকুন। এই পোস্টটি অনেক ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পি এম ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url