অনলাইনে সবচেয়ে লাভজনক ১৫টি ব্যবসা দেখুন

অনলাইনে সবচেয়ে লাভজনক ১৫টি ব্যবসা নিয়ে আজকে আমরা আপনাদের সাথে সহভাগিতা করব। কোন ব্যবসাগুলো করলে আপনি সহজে লাভ করতে পারবেন এবং অল্প পূঁজি নিয়েই এইগুলো শুরু করতে পারবেন। আমরা অনেকেই চায় টাকা পয়সা ইনকাম করতে
অনলাইনে-সবচেয়ে-লাভজনক-১৫টি-ব্যবসা-দেখুন
কিন্তু আমরা এমন দেশে বসবাস করি, যে দেশের আয়তন কম কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। এবং কর্মসংস্থান অনেক কম। যার কারনে মানুষ অনেক বেশি পড়াশুনা করেও বেকার থাকে। তাদের জন্যই মূলত আজকের এই পোস্ট। আশা করি খুব মনোযোগ দিয়ে এই আর্টিকেলটি পড়বেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক-

পোস্ট সূচিপত্রঃ অনলাইনে সবচেয়ে লাভজনক ১৫টি ব্যবসা দেখুন

ব্যবসা কি ও কেন করবেন?

আমরা অনেকেই টাকা ইনকাম করতে চায় কিন্তু কিভাবে করব সেটা বুঝতে পারি না। অনেকে আছি যারা ব্যবসা কি? সেটাই বুঝি না। তাদের সুবিধার জন্যই আজকে ব্যবসা সম্পর্কিত "অনলাইনে সবচেয়ে লাভজনক ১৫টি ব্যবসা দেখুন" সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আপনি যখন কোনো কিছু অন্যের কাছ থেকে ক্রয় করে বা নিজে তৈরি করে অন্যের কাছে একটু বেশি দামে বিক্রয় করে কিছু টাকা লাভ করবেন তখন তাকে ব্যবসা বলে। যদি আপনি পণ্য বা সেবা বিক্রয় করে কোনো লাভ না করেন তাহলে সেটাকে ব্যবসা বলা যাবে না। কারণ ব্যবসার মূল লক্ষ্যই হলো মুনাফা অর্জন করা।
তাই আপনি যখনই ব্যবসা শুরু করবেন তখনই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে আপনি আপনার পণ্য বা সেবা বিক্রয় করে কত টাকা মুনাফা করবেন। এই ব্যবসা দুইভাবে করা যায়। একটি হলো অফলাইন এবং আরেকটি হলো অনলাইন। অফলাইন ব্যবসা হলো একটি প্রাচীন ব্যবসা যা আমরা আমাদের বাপ- দাদার আমল থেকে দেখে আসছি। অর্থাৎ দোকানে বসে বা বাজারে বা হাটে গিয়ে সরাসরি পণ্য বা সেবা কেনা বেচা করা। আর অনলাইন ব্যবসা হলো সম্পুর্ণ আলাদা একটা ব্যবসা। এখানে আপনাকে কারো কাছে পণ্য বা সেবা নিয়ে যেতে হবে না। আপনি আপনার বাসায় বসে থেকে আপনার পণ্য বা সেবা আপনার কাঙ্ক্ষিত ভোক্তার নিকট পৌছে দিবেন। আজকে আমরা আলোচনা করবো শুধুমাত্র অনলাইনে যে সমস্ত ব্যবসা করে লাভবান হওয়া যায় সেই সমস্ত ব্যবসা সম্পর্কে।

অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায়?

অনলাইনে আপনি অনেক ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন। এবং সেগুলো করতে আপনার খুব একটা পূঁজির প্রয়োজন হবে না। অল্প পূজিতেই আপনি এই ব্যবসাগুলো শুরু করতে পারবেন। এর জন্য আপনার থাকতে হবে কাজ করার মন মানসিকতা, ধৈর্য ও দক্ষতা। এগুলো আপনার মধ্যে না থাকলে আপনি এই অনলাইনের ব্যবসা করতে পারবেন না। অনেকেই আমরা আছি যারা সবকিছুই সহজ মনে করি এবং অবহেলার চোখে দেখি। পরিশেষে কোনো ধরনের সফলতা অর্জন করতে পারি না। অনলাইনে ব্যবসা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রমী হতে হবে। না হলে আপনার দ্বারা অনলাইন ব্যবসা হবে না। অনলাইন ব্যবসা কিভাবে করতে হয় সেগুলো আমরা এই আর্টিকেলের নিচে আলোচনা করব। তার আগে আমরা জানব যে অনলাইনে কি কি করা যায়? সে সম্পর্কে। অনলাইনে যে সমস্ত ব্যবসা করা যায় সেগুলো হলো-
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট
  • অনলাইন ট্রেনিং সেন্টার
  • সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
  • ইকমার্স স্টোর
  • ইউটিউব 
  • ব্লগিং
  • ডিজিটাল মার্কেটিং 
  • দক্ষতা বিক্রয় করে
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
  • ড্রপশিপিং বা রিসেলিং করে
এগুলো ব্যবসা করতে খুব বেশি পরিমানে টাকা পয়সা লাগে না। শুধু মাত্র আপনার ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকলেই আপনি আপনার বাড়িতে বসে এই সমস্ত ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখি যে উপরিউক্ত ব্যবসাগুলো কি এবং কিভাবে করা যায়।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হয়ে যেভাবে ইনকাম করবেন

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হয়ে আপনি বর্তমানে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই কাজ পুরোটাই অনলাইন ভিত্তিক হয়ে থাকে। আপনি আপনার ঘরে বসে দেশে ও দেশের বাইরের ক্লাইন্ট এর সাথে কাজ করতে পারবেন। আমরা অনেক সময় দেখি কোনো বড় মাপের মানুষদের সাথে একজন করে পিএ থাকে অর্থাৎ পার্সোনাল এসিস্টেন্ট থাকে। সেই কাজগুলোই মূলত অনলাইনের মাধ্যমে করা হয়। সেই কাজকেই ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট বলে।
এই কাজের জন্য আপনাকে প্রথমে সময় সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। সময়কে যদি আপনি মূল্য দিতে না পারেন তাহলে আপনি এই কাজ করতে পারবেন না। এই কাজের মধ্যে আপনাকে আপনার বায়ারের সারা দিনের যে কর্মসূচি রয়েছে তা মনে করায় দিতে হবে। তার কখন কোন জায়গায় এবং কয়টার সময় মিটিং আছে তা আপনার বায়ারকে জানাতে হবে, এবং তার যত সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট আছে, ইমেইল একাউন্ট আছে সেগুলো পরিচালনা করা সহ তার যাবতীয় কাজ করতে হয়। এখন প্রশ্ন হলো কাজ শেখার পর এই ধরনের কাজ কোথায় পাবেন?
আরো পড়ুনঃ
এই ধরনের কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলতে হবে। এখানে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস বলতে ফ্রিল্যান্সার, ফাইবার, আপওয়ার্ক এর মতো বড় বড় মার্কেটপ্লেসকে বোঝানো হচ্ছে। এগুলোতে একাউন্ট খোলার পর আপনাকে বিড করতে হবে। তারপর আপনাকে যদি বায়ারের পছন্দ হয় তাহলে আপনাকে তার কাজের জন্য নিযুক্ত করা হবে। আশা করি এই কাজটি বুঝতে পেরেছেন।

অনলাইন ট্রেনিং সেন্টার করে ইনকাম করবেন যেভাবে

অনলাইনে ট্রেনিং সেন্টার করে ইনকাম করার পদ্ধতিও অনেক সহজ। আপনি যদি এই কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে যে কোনো একটি বিষয়ের উপর অভিজ্ঞ হতে হবে। যদি আপনি কোনো বিষয়ের উপর অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিজেই অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার মাধ্যমে ট্রেনিং সেন্টার খুলতে পারেন। আবার আপনি যদি কোনো কোর্স চালু করতে চান তাহলেও আপনি এই অনলাইন প্লাটফর্ম বেছে নিতে পারেন। এই কাজ করার জন্য আপনাকে একটি কোর্স বাছাই করতে হবে। আপনি স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী পড়াবেন নাকি কম্পিউটার বিষয়ক কোর্স করাবেন। এটা সিলেক্ট করার পর আপনাকে কোর্সের ক্লাস নেওয়ার জন্য একটি প্লাটফর্ম বেছে নিতে হবে।
অনলাইনে-সবচেয়ে-লাভজনক-১৫টি-ব্যবসা-দেখুন
এই প্লাটফর্মটি হতে পারে একটি ওয়েবসাইট, হতে পারে একটি ইউটিউব চ্যানেল, হতে পারে ফেসবুক পেজ বা একাউন্ট। আপনার যেখানে ভালো লাগে সেখানে আপনি ক্লাস নেওয়ার কার্যক্রম চালাতে পারেন। এই কাজ করতে আপনাকে খুব পরিমাণে টাকা বিনিয়োগ করতে হবে এমনটাও নয়। আপনি ফেসবুকে একটি পেজ খুলে তা বুস্ট করার মাধ্যমে আপনি আপনার দেশে ও দেশের বাইরের মানুষকে জানাতে পারেন আপনার এই অনলাইন ট্রেনিং সেন্টারের কথা। তাহলে আপনি ভালো ছাত্র ছাত্রী পাবেন এবং আপনার ট্রেনিং সেন্টারও ভালো চলবে। আশা করি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হওয়ার মাধ্যমে ইনকাম

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করার পদ্ধতিটাও কিন্তু অনেক ভালো একটা পদ্ধতি। সোশ্যাল মিডিয়া বলতে যে সমস্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে যেমন-ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, লিংকডিন ইত্যাদি। অনেক মানুষ বর্তমানে এই সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করছে। এই কাজ হলো আপনাকে শুধুমাত্র আপনার বায়ারের একাউন্ট পরিচালনা করতে হবে। পোস্ট করতে হবে, কমেন্ট এর রিপ্লাই দিতে হবে।
অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ার যত রকম কাজ আছে সব কাজ আপনাকে করতে হবে এবং সেটা সময় অনুযায়ী। এই কাজ করার জন্য আপনাকে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে যেতে হবে। সেখানে এ ধরনের কাজ অনেক পাওয়া যায় এবং এ ধরনের কাজে সেলারিও অনেক বেশি পাওয়া যায়। তবে দেশের বাইরের বায়ারের কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজী ভাষা ভালো ভাবে জানতে হবে। তা না হলে আপনি আপনার বায়ার এর সাথে সঠিকভাবে কমিউনিকেশন করতে পারবেন না।

ইকমার্স স্টোর তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন যেভাবে

ইকমার্স স্টর তৈরি করেও আপনি ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আমরা অনেকেই চায় অফলাইনে যেমন দোকান থাকি অনলাইনেও যদি হত তাহলে খুব ভালো হত। আপনাদের জন্যই মূলত এই ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করা। আপনি চাইলেই আপনার হাতে থাকা ডিভাইস দিয়ে এই কাজটি করতে পারেন। তবে আপনার থাকতে হবে একটি ওয়েবসাইট।
সেই ওয়েবসাইটে আপনাকে আপনার পন্যগুলো সাজাতে হবে এবং সেগুলো মানুষের কাছে মার্কেটিং করতে হবে। তাহলে এই ব্যবসাতে লাভবান হওয়া সম্ভব। বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক ইকমার্স ওয়েবসাইট আছে যারা অনেক অনেক টাকা ইনকাম করছে শুধুমাত্র ঘরে বসে। আপনি ঘরে বসে শুধু আপনার পন্যের মার্কেটিং করবেন তাহলেই আপনার পন্য সেল হতে থাকবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ইনকাম করবেন যেভাবে

বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে মানুষ প্রচুর টাকা ইনকাম করছে। এই মাধ্যমটি অনেক সহজ এবং সর্বজন প্রিয় একটি মাধ্যম। আপনি চাইলেই আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ দিয়ে এই কাজটি করতে পারেন। এই কাজের জন্য আপনাকে একটি শর্ত পূরণ করতে হবে আর সেটি হলো আপনার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম লাগবে। এটি পূরণ করতে পারলেই আপনি আপনার চ্যানেলে মনিটাইজেশন অন করার অপশন পেয়ে যাবেন।
মনিটাইজেশন অন হয়ে গেলেই আপনি প্রতি মাসে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। প্রতিদিন ভালো ভালো ভিডিও বানাতে হবে। ভিডিওতে ভিউ আনার জন্য বিভিন্ন প্লাটফর্মে মার্কেটিং করতে হবে। তাহলে আপনি আপনার ভিডিওগুলো ভাইরাল করতে পারবেন। আবার আপনি যদি ভালো মানের একজন শিক্ষক হন তাহলে আপনি আপনার পছন্দের একটি বিষয়ের উপর ক্লাস ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করতে পারেন। একবার মনিটাইজেশন অন হলে আপনি ব্যাক্তিগত ভাবে বিভিন্ন ধরনের এড চালাতে পারবেন এবং সেটার উপর আপনি নির্দিষ্ট হারে একটি কমিশন পাবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে কেমন পরিমানে টাকা আয় করা সম্ভব তাও আবার ঘরে বসে।

ব্লগিং করে যেভাবে ইনকাম করবেন

বর্তমানে যদি সবচেয়ে সহজ ইনকাম থেকে থাকে তাহলে এই ব্লগিং হলো এক নাম্বার। ব্লগিং করে মানুষ বর্তমানে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। এই কাজের মতো সহজ কাজ আর দ্বিতীয়টি নেই। এই কাজের জন্য আপনাকে শুধু লিখতে জানতে হবে। আপনি যদি বিভিন্ন বিষয়ের উপর লিখতে পারেন তাহলে আপনি আপনার বাড়িতে বসে আপনার হাতে থাকা ডিভাইস দিয়ে লেখালেখি করে ইনকাম শুরু করতে পারেন। এখন প্রশ্ন হলো আপনি কোথায় এ ধরনের কাজ পাবেন?
আরো পড়ুনঃ
আপনি চাইলেই বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে এই ধরনের কাজ পেয়ে যাবেন। আর আপনি যদি ইংরেজীতে দক্ষ না হন তাহলে আপনি চাইলে বাংলাতে ব্লগিং বা পোস্ট লিখে ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশে একমাত্র অর্ডিনারি আইটিই এই ব্লগিং এর চাকুরীর অফার দিয়ে থাকে। আপনি চাইলে এই প্রতিষ্ঠানে বাংলা পোস্ট লিখে আয় করতে পারেন। আপনি যদি এই কাজ না জানেন তাহলে তারা আপনাকে হাতে কলমে এই কাজ শিখিয়ে দিবে। আপনি এই প্রতিষ্ঠানে বাংলা পোস্ট লিখে মাসে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আবার আপনি চাইলেই নিজের একটি ওয়েবসাইট খুলে সেটিতে ব্লগ পোস্ট লিখে গুগল এডসেন্স নিয়ে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম করবেন যেভাবে

বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইন জগতে সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। আপনি চাইলে এই ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে প্রচুর পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি এই কাজ না জেনে থাকেন তাহলে আপনি অল্প সময়েই এই কাজ করে ইনকাম শুরু করতে পারবেন। এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে বিভিন্ন পন্যের মার্কেটিং ভোক্তাদের কাছে পৌছানো এবং সেল বা সার্ভিস বৃদ্ধি করানো। কোনো ওয়েবসাইটের এসইও করে ওয়েবসাইট র‍্যাংকিং এ আনা সহ আরো অনেক কাজ রয়েছে এই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে।
ধারণা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে এই ডিজিটাল মার্কেটিং না জানলে ব্যবসা করা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। যে ব্যক্তি ডিজিটাল মার্কেটিং জানবে সে ব্যক্তি তত বেশি সেল জেনারেট করতে পারবে। আশা করি বুঝতেই পারছেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল্য কতটুকু। এই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আপনি দেশে ও দেশের বাইরের ক্লাইন্টদের সাথে কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি অনলাইনে যে ব্যবসায় করতে চান না কেন। আপনার অনলাইনের ব্যবসা বৃদ্ধির মূল চাবিকাঠিই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। এই ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া আপনি আপনার ব্যবসাকে কখনই মানুষের নিকট পৌছাতে পারবেন না। এই জন্য এই সেক্টরের চাহিদা অনেক রয়েছে।

দক্ষতা বিক্রয় করে ইনকাম করবেন যেভাবে

আপনি যদি কোনো বিষয়ের উপর দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মনে করুন আপনি ভালো ছবি তুলতে পারেন। তাহলে আপনি ভালো ভালো ছবি তুলে সেগুলো বিক্রয়ের মাধ্যমে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ছবি কেনা বেচা করা হয়। আপনাকে শুধু ভালো করে ছবি তুলতে হবে এবং সেই ওয়েবসাইট গুলোতে আপলোড করে বিক্রয় করতে হবে। এছাড়াও আপনার যদি কোনো প্রকার প্লাটফর্ম না থাকে ছবি বিক্রয় করার মতো।
তাহলে আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনের সাহায্যে একটি ফেসবুক পেজ খুলে তাতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনি আপনার ছবির মূল কাস্টমারদেরকে খুঁজে বের করতে পারেন এবং ভালো ভালো ছবি বিক্রয় করতে পারবেন। এর জন্য আপনার থাকতে হবে ভালো মানের ক্যামেরা, স্ট্যান্ড অর্থাৎ ছবি তুলতে যে সমস্ত সরঞ্জাম লাগে সেগুলো থাকলেই হলো। এভাবে আপনার মধ্যে বিদ্যমান যে দক্ষতাগুলো রয়েছে সেগুলো বিক্রয় করে টাকা ইনকাম শুরু করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করবেন যেভাবে

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার আগে আপনাকে জানতে হবে যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো যে মার্কেটিং রেফারের মাধ্যমে করা হয়। অর্থাৎ মনে করেন আপনি ব্যবসা শুরু করবেন কিন্তু আপনার কাছে কোনো ধরনের পন্য নেই। কিন্তু আপনি ব্যবসা করতে চাচ্ছেন। এমতাবস্থায় আপনার কোনো পন্য নেই কিন্তু আমার পন্য আছে। তাহলে আপনি আমার পন্যের মার্কেটিং করে বিক্রয় করে দিলে আমি আপনাকে সেই বিক্রিত পন্যের উপর কিছু কমিশন দিব। এটাই মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।
এই মার্কেটিং ফ্রিতেও করা যায়। এর জন্য আপনাকে কোনো প্রকার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে না। আবার আপনি চাইলে টাকা বিনিয়োগ করেও এই ব্যবসা করতে পারেন। তবে টাকা বিনিয়োগ করে এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ব্যবসা করলে ভালো সফলতা পাওয়া সম্ভব। এই ব্যবসাতে আপনি যতগুলো পন্য সারাদিনে বিক্রয় করতে পারবেন ঠিক ততগুলো পন্যের কমিশন দেওয়া হবে। এটাই আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মূল মন্ত্র।

ড্রপ শিপিং করে ইনকাম করবেন যেভাবে

ড্রপ শিপিং এর আরেক নাম হলো রিসেলিং। আপনি চাইলেই এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা করেও অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এই ব্যবসা করার মূল প্লাটফর্ম বা বেস্ট প্লাটফর্ম হলো ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট। তবে ফেসবুকের মাধ্যমে করলে সহজে খুব দ্রুত মানুষের কাছে পৌছানো যায়। এবং দ্রুত সফলতা পাওয়া যায়। এই ব্যবসা করতে আপনার কোনো ধরনের পন্য থাকার দরকার নেই। আপনি মানুষের পন্য বিক্রয় করে ইনকাম করবেন।
আরো পড়ুনঃ
এই ব্যবসাতে আপনি যে সমস্ত পন্য বিক্রয় করবেন সেই সমস্ত পন্যের উপর নির্ধারিত দাম দেওয়া থাকবে। সেই দাম থেকে আপনি যত বেশি দামে পন্যটি বিক্রয় করতে পারবেন আপনার তত বেশি লাভ হবে। অনেক বেকার যুবক বর্তমানে এই রিসেলিং এর ব্যবসা করে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। এবং অনেক বেকার মানুষের কর্মসংস্থানও করছে। আপনার কাছে যদি ব্যবসা করার মতো সেই রকম অর্থ না থাকে তাহলে আপনি কম পূজিতে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা আপনি চাইলেই আপনার চাকুরীর পাশাপাশি বা পড়াশুনার পাশাপাশিও করতে পারবেন।

সৎ উপায়ে ব্যবসা করবেন কিভাবে?

আমরা অনেকেই ব্যবসা করে দ্রুত বড়লোক হবার চিন্তা প্রায়ই করে থাকি। কিন্তু আজ পর্যন্ত দেখা গেছে যে কোনো ব্যক্তি দ্রুত বড়লোক হতে পারেনি। বড়লোক হওয়ার জন্য তাদেরকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। তারা অনেক বার ব্যর্থ হয়েছে কিন্তু হাল ছাড়েনি। সেই জন্যই আজ তারা ধনির পর্যায়ে আছে। আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল হচ্ছে আমরা যাকে আমাদের আইডল ভাবি তাদের শুধু সফলতাটায় দেখি কিন্তু তার সেই সফলতার পেছনে কেমন পরিশ্রম আছে তা দেখি না যার জন্য আমরা সফলতা অর্জন করতে পারিনা। একজন সফল ব্যবসায়ী হতে হলে আপনাকে অবশ্যই সৎ ও পরিশ্রমী হতে হবে। অসৎ উপায়ে ব্যবসা করলে হয়ত আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন কিন্তু সেই টাকা দিয়ে কোনো উন্নতি করতে পারবেন না। সেই জন্য যত সময়ই লাগুক না কেন ধৈর্য ধরে সৎ ভাবে ব্যবসা করাটা আমাদের কর্তব্য। যাই হোক এবার মূল আলোচনায় আসা যাক-
কোনো ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমে আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হলো পরিকল্পনা। পরিকল্পনা ছাড়া আপনি কোনো ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন না। কোনো কাজ শুরু করার আগে তা কিভাবে করবেন, কোথায় করবেন, করার জন্য কি কি দরকার হবে ইত্যাদি চিন্তা করাকেই পরিকল্পনা বলে। অর্থাৎ আপনি ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে চিন্তা করতে হবে যে কি ব্যবসা করবেন, ব্যবসার জন্য কোন জায়গাটা ভালো হবে, ব্যবসা করতে কি পরিমাণ পূজি লাগবে ইত্যাদি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। পরিকল্পনা হয়ে গেলে আপনাকে সেই মতোই সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। পরিকল্পনা ছাড়া আপনি কাজ করতে গেলে বেশি দূর যেতে পারবেন না।
পরিকল্পনা হয়ে গেলে আপনাকে ব্যবসাটা শুরু করতে হবে। ব্যবসা শুরু হয়ে গেলে আপনাকে আপনার ব্যবসা নিবন্ধন করতে হবে। ব্যবসা নিবন্ধন করে নিয়মিত ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে। ব্যবসা নিবন্ধন হলে আপনাকে একটি প্লাটফর্ম বেছে নিতে হবে। যেহেতু আপনি অনলাইনে ব্যবসা করবেন সেহেতু আপনাকে অনলাইনে একটি প্লাটফর্ম বেছে নিতে হবে। সেই প্লাটফর্ম হতে পারে একটি ওয়েবসাইট, হতে পারে একটি ফেসবুক পেজ বা হতে পারে যে কোনো সোশ্যাল মিডিয়া। প্লাটফর্ম নির্বাচন হয়ে গেলে সেখানে আপনি আপনার ব্যবসা সংক্রান্ত সকল তথ্য সুন্দর ও সাবলীল ভাবে উপস্থাপন করবেন। এবং সেটি মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য আপনাকে এবার ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হবে।
অনলাইনে-সবচেয়ে-লাভজনক-১৫টি-ব্যবসা-দেখুন
অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের এসইও করতে হবে, ব্যাকলিংক করতে হবে, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং না জানলে আপনি আপনার ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারবেন না। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং না জেনে থাকেন তাহলে আপনাকে একজন ডিজিটাল মার্কেটারকে দিয়ে আপনার ব্যবসার মার্কেটিং করাতে হবে। তাহলে আপনার ব্যবসা অল্প দিনের মধ্যে মানুষের কাছে পৌছে যাবে, সকলে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানবে, আপনার সাথে আপনার ভোক্তাদের ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে এবং শেষ পর্যায়ে আপনি ভালো ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন।
তাহলে বুঝতেই পারছেন যে অনলাইনে যে কোনো ব্যবসা করতে হলে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং জানতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। ডিজিটাল মার্কেটিং না জানলে আপনার অনেক টাকা খরচ হয়ে যাবে মার্কেটিং এর পেছনে। আর আপনি যদি নিজেই সেই কাজগুলো করেন তাহলে আপনার অনেক খরচ কমে যাবে। কিন্তু সবশেষ কথা হলো যে ব্যবসায় করেন না কেন চেষ্টা করবেন যেন সেটা সৎ উপায়ে হয়।

শেষ কথাঃ অনলাইনে সবচেয়ে লাভজনক ১৫টি ব্যবসা দেখুন

অনলাইনে সবচেয়ে লাভজনক ১৫টি ব্যবসা দেখুন এই পোস্টটি অনেক ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আশা করি এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছেন যে কোন ব্যবসা করলে ভালো হবে, কি পরিমাণ পুঁজি লাগবে, ব্যবসার জন্য কেমন জায়গা নির্বাচন করলে ভালো হবে ইত্যাদি। অনলাইনে ব্যবসা করে সফলতা অর্জন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই অনেক ধৈর্য ধরে সৎ ভাবে কাজ করে যেতে হবে। তাহলেই আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন।
আমাদের এই ওয়েবসাইটে আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে চাইলে অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন। আমাদের এই ওয়েবসাইটে আপনি তথ্য প্রযুক্তি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, অনলাইন ইনকাম ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনার জীবনকে পরিবর্তন করতে চাইলে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পি এম ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url