বর্তমানে গুগল থেকে ইনকাম করার সেরা ৯টি উপায়

ফ্রিল্যান্সিং জগতে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটিআমরা অনেকেই অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চাই কিন্তু কিভাবে করব? কোথায় থেকে করব? বুঝতে পারিনা। অনলাইন থেকে আসলেই কি টাকা ইনকাম করা সম্ভব? এগুলো হাজারো প্রশ্ন আমাদের মাথার ভেতর ঘুরপাক খেতে থাকে।

তাদের জন্যই আজকের এই পোস্টটি লিখা। আজকের এই পোস্টটে আমরা আলোচনা করব গুগল থেকে কিভাবে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায়। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে আলোচনাটা শুরু করা যাক-

বর্তমানে গুগল থেকে ইনকাম করার সেরা ৯টি উপায়

বর্তমানে গুগল থেকে ইনকাম করার সেরা ৯টি উপায় এই পোস্টের শুরুতেই আমরা জানব যে গুগল কি এবং এর সার্ভিস কতগুলো রয়েছে? আমরা অনেকেই গুগল এর নাম শুনে অভ্যস্ত। আমরা অনেকেই জানি যে গুগল এর কাজ কি। আমরা যারা মোবাইল বা কম্পিউটার ইউজার আছি তারা সবাই গুগলকে ভালোভাবে চিনি। আমরা কোনো সমস্যাই পড়লে সবার আগে গুগলের কাছে যায়। কারণ আমরা জানি যে গুগল সবকিছুই জানে। অর্থাৎ গুগল হলো একটি সার্চ ইঞ্জিন যেটার মাধ্যমে মানুষ তাদের অজানাকে জনার চেষ্টা করে। বর্তমানে গুগল ইনকাম করার জন্য সেরা একটা মাধ্যম। গুগলের অনেক সার্ভিস রয়েছে যেটা আমরা অনেকেই জানি না। গুগলের যে সমস্ত সার্ভিস রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে-

• জিমেইল
• গুগল ব্লগার
• গুগল এডসেন্স
• গুগল ম্যাপ
• ইউটিউব
• গুগল প্লে স্টোর
• গুলো ট্রান্সলেট
• গুগল অপিনিয়ন রিওয়ার্ডস
• গুগল এডস

এগুলো সবগুলোই গুগলের সার্ভিস। এবং এগুলো থেকে খুব সহজেই ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করা যায়। এগুলোর মধ্যে প্রায় অনেকগুলো সার্ভিস থেকেই ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায়। কোনটির মাধ্যমে কিভাবে আয় করা সম্ভব সেগুলোই এখন আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

গুগলের জিমেইল দিয়ে কিভাবে আয় করবেন?

গুগলের জিমেইল দিয়ে কিভাবে আয় করবেন এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আমরা অনেকেই এই জিমেইলের সাথে পরিচিত। অনেকেই জিমেইল ব্যবহার করে থাকি। জিমেইল ছাড়া বর্তমানে কোনো কিছু করা সম্ভব হয়ে উঠে না। আপনি জিমেইল ছাড়া ইউটিউব দেখতে পারবেন না। অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে জিমেইল ছাড়া প্রবেশ করতে পারবেন না। আবার কোনো অ্যাপস প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন না। তাহলে বুঝতেই পারছে একটি জিমেইল এর গুরুত্ব কতখানি। এই জিমেইলকে ব্যবহার করে আপনি বর্তমানে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে যারা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে তারা তাদের সমস্ত কাজ এই জিমেইলের মাধ্যমে জমা দিয়ে থাকেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর যেসমস্ত কাজ করা হয় সেগুলোর মধ্যে অনেক কাজই আছে যেগুলো গুগল ডক্স, গুগল শিট বা গুগল ব্লগারের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়। অর্থাৎ জিমেইল দিয়ে আপনি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই ধরনের কাজ করতে আপনার কোনো প্রকার ইনভেস্ট করা লাগবে না। আপনি ফ্রিতেই এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

গুগলে ব্লগারের মাধ্যমে আয় করবেন যেভাবে

গুগল ব্লগারের মাধ্যমে আয় করবেন যেভাবে-এই কথাটি শুনে বুঝতেই পারছেন যে এর মাধ্যমে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন। গুগল ব্লগার হলো গুগলের একটি সার্ভিস যেখানে আপনি আপনার পছন্দ মতো পোস্ট বা আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে একটি জিমেইলের আন্ডারে ব্লগার ওয়েবসাইট খুলতে হবে। এই ওয়েবসাইটের ডোমেইন আপনি কিনতে চাইলে কিনতে পারেন আবার ব্লগারের ফ্রি ডোমেইন নিয়েও কাজ করতে পারবেন। ব্লগার ওয়েবসাইট খোলা হলে আপনাকে একটি থিম সেট আপ করতে হবে।

তারপর আপনাকে আপনার পছন্দ মতো ক্যাটাগরি অনুযায়ী পোস্ট লিখতে হবে। পোস্ট লিখা হলে আপনি এই ওয়েবসাইটটি মানুষের কাছে সেল করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন। অথবা আপনি যদি চান যে নিজের কোনো ওয়েবসাইট রাখবেন না, আপনি অন্যের ওয়েবসাইটে পোস্ট লিখে আয় করবেন তাও পারবেন। এজন্য আপনাকে ক্লাইন্ট ম্যানেজ করতে হবে। তাহলে আপনি সেই ক্লাইন্ট এর ব্লগে পোস্ট লিখার কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে যারা ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে তাদের জন্য এই কাজটি হচ্ছে বেস্ট। তারা চাইলে পড়াশুনার পাশাপাশি এই ধরনের কাজ করে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবে। কারণ এই ধরনের কাজ করতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না। দিনে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা কাজ করলেই হয়ে যায়।

গুগল এডসেন্স থেকে কিভাবে আয় করা যায়?

গুগল এডসেন্স থেকে কিভাবে আয় করা যায় বা গুগল এডসেন্স কি এটি আমরা অনেকেই জানি না। আমরা ইতোমধ্যেই জেনেছি যে গুগলের ব্লগারে বাংলা বা ইংরেজী পোস্ট লিখে আয় করা যায়। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত পোস্ট লিখতে থাকবেন। যখন আপনার পোস্টে প্রতিদিন ভালো পরিমাণে ভিউয়ারস আসে তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য গুগলে এডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন। আবেদন করা হলে গুগল আপনার ওয়েবসাইটটি চেক করে দেখবে।

যদি আপনার ওয়েবসাইটের সমস্ত কিছু গুগলের নীতিমালা অনুযায়ী থাকে তাহলে গুগল আপনার আবেদনটি গ্রহণ করবে এবং আপনার ওয়েবসাইটে এড দেখানোর অনুমতি দিবে। এই অনুমতি পেয়ে গেলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে আরো পোস্ট লিখবেন এবং ভিউয়ার্স বৃদ্ধি করবেন। তখন আপনার ওয়েবসাইটে যত ভিউয়ার্স আনবেন আপনার ওয়েবসাইটের এড তত বেশি মানুষ দেখবে। এবং এই এডগুলো দেখার মাধ্যমেই আপনার ইনকাম হতে শুরু হতে থাকবে। বর্তমানে এই কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। এটি হচ্ছে এক ধরনের প্যাসিভ ইনকাম।

এই ইনকামের জন্য আপনাকে প্রথম দিকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে কিন্তু পরে আপনাকে আর এটার পেছনে বেশি সময় না দিলেও চলবে। তার মানে মনে করেন আপনি একটি বিল্ডিং বাড়ি তৈরি করলেন এবং সেটা ভাড়া দিয়ে রাখলেন। সেটার পেছনে আপনাকে আর শ্রম দিতে হচ্ছে না। মাস শেষে আপনি ঠিকই বাড়ি ভাড়া পেয়ে যাচ্ছেন। গুগল এডসেন্সও ঠিক তাই। আপনি শুরুতে পরিশ্রম করবেন এবং পরবর্তীতে এর ফল ভোগ করবেন। এটাকেই মূলত প্যাসিভ ইনকাম বলে।

আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এই কাজের জন্য আপনাকে কোনো প্রকার টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না। এই কাজ আপনি সম্পূর্ণই বিনা মূল্যে করতে পারবেন। তবে আপনি যদি চান তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি প্রিমিয়াম ডোমেইন কিনতে পারেন এক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের পরিচিতি আরো বেড়ে যাবে। এখানে বিনিয়োগ বলতে আপনার এই ডোমেইনটাই কিনতে হবে। আর কোনো কিছুতে কোনো টাকা পয়সা লাগবে না। আপনার কাজ হবে শুধু পোস্ট লিখা। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

গুগল ম্যাপ থেকে যেভাবে ইনকাম করবেন

গুগল ম্যাপ থেকে যেভাবে ইনকাম করবেন এই কথা শুনে মনে করতে পারেন যে গুগল ম্যাপ থেকে আবার কিভাবে ইনকাম করা যায়। হ্যাঁ বর্তমানে গুগল ম্যাপ থেকেও ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এখন প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই চায় তাদের প্রতিষ্ঠান যেন সারা বিশ্ব থেকে দেখা যায়। এজন্য সকলে তাদের প্রতিষ্ঠানটি গুগল ম্যাপে যোগ করতে চায়।

কিন্তু কিভাবে করতে হয় তা অনেকেই জানে না। আপনি তাদেরকে এই সার্ভিসটি প্রদান করার মাধ্যমে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এখন প্রশ্ন হলো এটি কিভাবে গুগলে ম্যাপে যোগ করবেন? এটি গুগল ম্যাপে যোগ করার জন্য শুধু আপনার একটি ইমেইল থাকলেই যথেষ্ঠ। এর জন্য আপনাকে গুগল এর সার্চ বারে গিয়ে সার্চ করতে হবে গুগল বিজনেস প্রোফাইল লিখে তাহলে আপনার সামনে একটি ওয়েবসাইট আসবে। অথবা এখানে ক্লিক করুন সেই ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করে সেখানে যে সমস্ত ইনফরমেশন চাইবে সেগুলো দিতে হবে।

এবং আপনাকে আপনার প্রতিষ্ঠান ভেরিফিকেশন করতে বলবে। এই ভেরিফিকেশন এর জন্য আপনাকে তিনটি অপশন দিবে। প্রথমে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে বলবে। সেটা আপনি যদি করতে না পারেন তাহলে আপনাকে ইমেইল ভেরিফিকেশন করতে বলবে সেটিও যদি আপনি না পারেন তাহলে আপনাকে ভিডিও ভেরিফিকেশন করতে বলবে। এই ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হয়ে গেলেই আপনার প্রতিষ্ঠানটি গুগল ম্যাপে লিস্টিং হয়ে যাবে। এই কাজ গুলো আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে ক্লাইন্ট জোগাড় করে করতে পারেন। এই কাজের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই গুগল ম্যাপ এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

ইউটিউব এর মাধ্যমে যেভাবে ইনকাম করবেন

ইউটিউবের মাধ্যমেও আপনি বর্তমানে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউব হলো গুগলের একটি সার্ভিস। আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেটাতে মনিটাইজেশন অন করে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করা শুরু করতে পারেন। এই ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য আপনার দরকার একটি ইমেইল, তবে এটা যদি আপনার বিজনেস ইমেইল হয় তাহলে খুব ভালো হয়। কারন অনেক সময় আমরা চায় ইউটিউব চ্যানেল বিক্রয় করতে তখন আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি আপনার ব্যক্তিগত ইমেইল দিয়ে খোলেন তাহলে আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে।

এতে করে আপনি অনেক সমস্যার সন্মুখীন হতে হবে। এই জন্য ইউটিউব চ্যানেল একটি বিজনেস ইমেইল দিয়ে খোলা ভালো। এই ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর আপনাকে এই চ্যানেলটি ভালো ভাবে কাস্টমাইজ করতে হবে। আপনার চ্যানেলের একটি লোগো সেট করতে হবে, কাভার ফটো লাগাতে হবে, চ্যানেলের ডেসক্রিপশন সুন্দর ভাবে লিখতে হবে যেন মানুষ আপনার চ্যানেলটি সহজেই খুঁজে পাই এবং আপনার চ্যানেলের উদ্দেশ্য কি সেটা পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারে।

সব কিছু সঠিকভাবে সেট আপ করা হলে আপনাকে প্রতিদিন নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে এবং সেগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে হবে। তাহলেই আপনি এই ইউটিউব চ্যানেল খোলার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে আপনার ক্লাইন্টদের জন্য ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট ও কাস্টমাইজ করে বা এসইও করে ইনকাম করতে পারবেন।

গুগল প্লে স্টোর থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন?

গুগল প্লে স্টোর থেকেও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এটি সাধারনত মোবাইল ফোনের একটি অ্যাপস যেখান থেকে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় অ্যাপস ডাউনলোড করতে পারি। এই গুগল প্লে স্টোরও গুগলের একটি জনপ্রিয় সার্ভিস। আপনি যদি একজন ভালো অ্যাপস ডেভেলপার হয়ে থাকেন বা ছোট খাট অ্যাপস বানাতে পারেন তাহলে আপনি এই আপনার তৈরি করা অ্যাপস এই গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

আপনার তৈরিকৃত অ্যাপস মানুষ যত বেশি ডাউনলোড করবে তত বেশি আপনার ইনকাম হতে থাকবে। এই কাজটি আপনি গুগল প্লে স্টোরের মাধ্যমেও করতে পারেন আবার চাইলে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস থেকেও করতে পারেন। বর্তমানে এআই কে ব্যবহার করে মানুষ অনেক ধরনের অ্যাপস তৈরি করছে এবং তা গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করছে। চাইলে আপনিও এআই কে ব্যবহার করে আপনার পছন্দ মতো অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন।

গুগল ট্রান্সলেট দিয়ে ইনকাম করবেন যেভাবে

গুগল ট্রান্সলেট দিয়েও আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এই গুগল ট্রান্সলেট এর কাজ হলো একটি ভাষাকে অন্য ভাষাতে রুপান্তর করা। অর্থাৎ আপনি চাইলে অন্যান্য দেশের ভাষায় যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস, গল্প বা কবিতা রয়েছে সেগুলো আপনি আপনার নিজের ভাষায় রুপান্তর করে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে পাবলিশ করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

অথবা আপনি যদি বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে যান তাহলে দেখতে পাবেন সেখানে অনেক জব পোস্ট হয় যেগুলো শুধুমাত্র ট্রান্সলেট করার জন্য। সেগুলো আপনাকে ট্রান্সলেট করে আপনার ক্লাইন্টকে জমা দেতে হবে। এই কাজগুলো তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ হয়ে থাকে। বর্তমানে অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে যারা শুধুমাত্র এই কাজগুলো করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করে থাকে। আপনার যদি এই বিষয়ে ইন্টারেস্ট থেকে থাকে তাহলে আপনি এই কাজটি করতে পারেন।

গুগল অপিনিয়ন রিওয়ার্ডস থেকে ইনকামের উপায়

গুগল অপিনিয়ন রিওয়ার্ডস থেকেও চাইলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এটি মূলত গুগলের একটি অ্যাপস যেখানে আপনাকে শুধুমাত্র বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর রিভিউ দিতে হবে বা আপনার মতামত দিতে হবে। এর বাইরে আপনার আর কোনো কাজ থাকবে না। আপনি শুধুমাত্র তাদের সাজেস্ট করা প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বা কোনো ওয়েবসাইট বা কোনো অ্যাপস আপনার ফোনে ব্যবহার করে দেখবেন যে কেমন লাগছে। আপনি ব্যবহার করে শান্তি পেয়েছেন নাকি বিভিন্ন সমস্যা দেখতে পেয়েছেন সেগুলোই আপনাকে রিভিউ হিসেবে দিতে হবে।

এই রিভিও বা মতামতের মাধ্যমে আপনি গুগলের কাছ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই কাজের জন্য আপনার কোনো ধরনের ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন নেই এবং কোনো ধরনের অভিজ্ঞতারও প্রয়োজন নেই। আপনি একবার কাজটি বুঝে বুঝে করলেই পারবেন। কিন্তু এই কাজের একটি বড় সমস্যা হলো এই কাজ বাংলাদেশ থেকে করা যায় না। বাংলাদেশে এই কাজ এখনো সহজলভ্য হয়নি। তবে আপনি চাইলে এই কাজ বাংলাদেশ থেকেও করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে কিছু ভিপিএন কিনে নিতে হবে বা আপনাকে আমেরিকার আইপি এড্রেস কিনে নিতে হবে। তাহলে আপনি এই কাজগুলো করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে এই কাজ ফ্রিতে করা কোনো ভাবেই সম্ভব না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

গুগল এডস এর মাধ্যমে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন?

গুগল এডস এর মাধ্যমেও আপনি চাইলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেকে গুগল এডসেন্স এবং গুগল এডসকে এক করে ফেলে। এই দুটি বিষয় আসলে আলাদা আলাদা। গুগল এডসেন্স হলো আপনি আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স যুক্ত করিয়ে যে ইনকাম করবেন সেটি এবং গুগল এডস হলো আপনি যদি আপনার কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর জন্য মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনাকে গুগলের কাছে টাকা পরিশোধ করতে হবে তাহলে গুগল আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস মানুষের কাছে পৌছে দিবে। এই কাজকে বলে গুগল এডস।

আপনি যদি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে কাজ করে থাকেন তাহলে আপনি এই কাজের জন্য বিভিন্ন ক্লাইন্ট খুঁজে তাদের কাজ করে দিয়ে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কারণ বর্তমানে মানুষ চাই যেন তাদের প্রতিষ্ঠান বা তাদের প্রোডাক্ট বা তাদের সার্ভিস যেন দ্রুত মানুষের কাছে পৌছায়। এই জন্য তারা ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সারদের খোঁজে এবং তাদের মাধ্যমে গুগলে এড দেয় এবং সেই কাজের জন্য তারা ভালো পরিমাণ টাকাও মজুরি হিসেবে দেয়। সেজন্য আপনি চাইলে এই কাজটি করতে পারেন।

শেষ কথাঃ বর্তমানে গুগল থেকে ইনকাম করার সেরা ৯টি উপায়

বর্তমানে গুগল থেকে ইনকাম করার সেরা ৯টি উপায় এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায়। আশা করি এই পোস্টটি পড়ে আপনি জানতে ও বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে গুগল থেকে টাকা ইনকাম করবেন, গুগলের কোন কোন সার্ভিস থেকে আপনি ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন, কোন সার্ভিসের জন্য কোথায় থেকে ক্লাইন্ট পাবেন? এই সব বিষয় এই পোস্টে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এই ধরনের অনলাইন ইনকাম রিলেটেড, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য রেলেটেড, তথ্য ও প্রযুক্তি রিলেটেড সকল বিষয়ে আপডেট তত্ত্ব ও তথ্য পেতে আমাদের এই পিএম ড্রিম আইটিকে ফলো করে সাথেই থাকুন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে কোনো নতুন পোস্ট পাবলিশ হওয়ার সাথে সাথেই আপনি নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সবার আগেই পেয়ে যাবেন। আমাদের ওয়েবসাইটের মূল লক্ষ্য হলো একটি মানুষের জীবনকে পরিবর্তন করে উন্নতির পথে এগিয়ে নেওয়া। এই ওয়েবসাইটে কোনো প্রকার ভুল তথ্য প্রদান করা হয় না। নির্ভুল তথ্য পেতে এখনি ফলো করে রাখুন। ধন্যবাদ