কিভাবে প্রোফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়? নিজের ডিভাইস দিয়ে
আমরা অনেকেই চায় নিজের যেন একটা ইউটিউব চ্যানেল থাকে। সেই চ্যানেল দিয়ে যেন
ভবিষ্যতে কিছু করতে পারি। কিন্তু কিভাবে প্রোফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়?
নিজের ডিভাইস দিয়ে সেটা জানি না। আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব কিভাবে ইউটিউব
চ্যানেল খুলবেন?
কিভাবে চ্যানেল কাস্টমাইজ করবেন, ইনকাম করতে হলে কি কি করতে হবে? এই সমস্ত বিষয়
আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তাই দয়া করে একটু সময় নিয়ে বসুন এবং এই পোস্টটি পড়ে শেষ
করুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কিভাবে প্রোফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়? নিজের ডিভাইস দিয়ে
- কিভাবে প্রোফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়? নিজের ডিভাইস দিয়ে
- ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য কি কি দরকার হবে?
- কিভাবে প্রোফেশনাল মানের ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন?
- ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে কাস্টমাইজ করবেন?
- ইউটিউব চ্যানেলের সেটিংস এর কাজ
- ইউটিউব চ্যানেল থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়?
- ইউটিউব চ্যানেল থেকে কোন কোন উপায়ে ইনকাম করা যায়?
- ফোনের মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম করা সম্ভব?
- কিভাবে ইউটিউব চ্যানেলে ভিজিটর আনবেন?
- শেষ কথাঃ কিভাবে প্রোফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়? নিজের ডিভাইস দিয়ে
কিভাবে প্রোফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়? নিজের ডিভাইস দিয়ে
কিভাবে প্রোফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়? নিজের ডিভাইস দিয়ে তা আলোচনা করার আগে আমরা ইউটিউবের কিছু বিষয় সম্পর্কে জানব। ইউটিউব মূলত একটি ভিডিও প্লাটফর্ম। এই প্লাটফর্মে অনেক মানুষ আছে যারা প্রোফেশনালি ভিডিও তৈরি করে এই ইউটিউব প্লাটফর্মে আপলোড করে এবং অনেক ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করে থাকে। আপনিও চাইলে তাদের মতো প্রোফেশনালি ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কিভাবে কি করবেন তা আমরা এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই ইউটিউব চ্যানেলের
মাধ্যমে আপনি অনেক ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। কত ভাবে ইনকাম করতে পারবেন তা আমরা
একটু পরেই আলোচনা করব। এই ইউটিউব প্লাটফর্মের কাজ মূলত একটাই। শুধু আপনাকে ভিডিও
বানাতে হবে আর আপলোড করতে হবে।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য কি কি দরকার হবে?
ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য আপনার বেশি কিছুর প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র আপনার কাছে একটি ডিভাইস এবং তাতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই হবে। প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো- আপনার ডিভাইসে একটি বিজনেস ইমেইল খুলতে হবে। এবং সেই বিজনেস ইমেইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে কেন বিজনেস ইমেইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলব?
কিভাবে প্রোফেশনাল মানের ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন?
কিভাবে প্রোফেশনাল মানের ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন তা আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। কারণ আপনি যদি একবারে প্রোফেশনালভাবে ইউটিউবে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়টি জানতে হবে। ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য আপনাকে আপনার ডিভাইসে থাকা ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করতে হবে। এই ক্রোম ব্রাউজারে অবশ্যই আপনার বিজনেস ইমেইল লগ ইন অবস্থায় থাকতে হবে। আপনার কাছে যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকে তাহলে ভালো আর যদি না থাকে তাহলে আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়েই ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন। আপনার যেটাতে খুশি সেটাতে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন। আপনি ক্রোম ব্রাউজারে প্রবেশ করার পর সার্চ বারে গিয়ে সার্চ দিবেন youtube লিখে। তাহলে আপনার সামনে নিচের ছবির মতো ইন্টারফেস শো করবে।সেখানে শুরুতেই দেখতে পাবেন ইউটিউবের অফিশিয়াল লিঙ্ক রয়েছে। সেটাতে ক্লিক করবেন তাহলে আপনাকে ইউটিউব প্লাটফর্মের মধ্যে নিয়ে যাবে। আপনার সুবিধার জন্য উপরের ছবিতে লাল কালার দিয়ে মার্ক করে দেওয়া হলো। ইউটিউব প্লাটফর্মে প্রবেশ করার পর আপনি দেখতে পাবেন আপনার স্ক্রিনের ডান পাশের উপরের কোণায় জিমেইলের মতো প্রোফাইল দেখাবে। সেখানে ক্লিক করবেন তাহলে আপনার সামনে কিছু অপশন শো করবে। নিচের ছবি দেখেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন।
সেই প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করলে আপনি দেখতে পাবেন Create a channel বা একটি চ্যনেল তৈরি করুন নামে একটি অপশন। সেখানে ক্লিক করলে আপনার চ্যানেলের নাম দিতে বলবে এবং একটা হ্যান্ডেল নেম দিতে বলবে যেটা মানুষ সার্চ করলে দেখতে পারবে। এখানে আপনি আপনার প্রোফাইল পিকচার দিতে পারেন আবার না চাইলে পরেও দিতে পারবেন। শুধু নাম এবং হ্যান্ডেল নাম দিয়ে create a channel বা একটি চ্যানেল তৈরি করুন বাটনে ক্লিক করুন তাহলেই আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা হয়ে যাবে। বুঝতে সমস্যা হলে নিচের ছবিটি দেখুন-
চ্যানেল তৈরি করা হয়ে গেলে আপনাকে অটোমেটিক আপনার চ্যানেলের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হবে। চ্যানেলের মধ্যে প্রবেশ করলে আপনি নিচের ছবির মতো ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। উপরের ছবিতে যে লেখাটি লাল কালার দিয়ে মার্ক করা হয়েছে সেই লেখাটির উপর ক্লিক করতে হবে।
ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে কাস্টমাইজ করবেন?
ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। ইউটিউব চ্যানেল আপনি যদি ভালোভানে কাস্টমাইজ করতে না পারেন তাহলে আপনার চ্যানেল থেকে আপনি ভালো কিছু আশা করতে পারবেন না। তাই খুব ভালো ভাবে কাস্টমাইজ করতে হবে। এর জন্য আপনাকে Customize Channel এর উপর ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনাকে চ্যানেল কাস্টমাইজেশন এ নিয়ে যাবে।
এই সেকশনে আপনাকে একটি ভালো মানের ব্যনার ইমেজ দিতে হবে। তারপর একটি প্রোফাইল
পিকচার দিতে হবে এবং নিচে যে ডেসক্রিপশন লিখার ঘর আছে সেটিতে আপনার চ্যানেল
সম্পর্কে ভালো করে লিখতে হবে যেন মানুষ পড়েই বুঝতে পারে যে আপনার এই চ্যানেলটি কি
সম্পর্কে এবং আপনি আপনার ভিডিওর মাধ্যমে কি কি শিক্ষা দিতে চান। তারপর একবারে
নিচে ওয়াটার মার্ক দেওয়ার অপশন আছে। সেটি দিলে আপনার প্রত্যেকটা ভিডিওতে ওয়াটার
মার্ক থাকবে এবং কেউ আপনার ভিডিও কপি করে ব্যবহার করতে পারবে না।
আরো পড়ুনঃফাইবারে একাউন্ট খোলার সঠিক নিয়ম
এরপরে Home Tab এ ক্লিক করে আপনি আপনার চ্যানেলকে সুন্দর ভাবে আপনার পছন্দ
মতো সাজাতে পারবেন। এখানে আপনি কোন সেকশনকে সামনে এবং কোন সেকশনকে পেছনে রাখতে
চান তা সিলেক্ট করতে পারবেন। এটি ভালো ভাবে সাজাতে পারলে মানষ আপনার চ্যানের ঢুকে
যখন দেখবে যে আপনার চ্যানেলটি একদম সাজানো গোছানো। তখন মানুষ আপনার চ্যানেলের
প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং আপনার সমস্ত ভিডিও দেখবে। এই জন্য এই সেকশনটি সুন্দর করে
সাজানো উচিৎ।
ইউটিউব চ্যানেলের সেটিংস এর কাজ
ইউটিউব চ্যানেলের সেটিংস এর কাজ সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। যদি এগুলো না
জানেন তাহলে আপনি ইউটিউবে ভালো কাজ করতে পারবেন না। এগুলো সেটিংস জানলে আপনি খুব
সহজেই আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে র্যাঙ্ক করাতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করা
যাক-
Dashboard-এই সেকশনে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সকল কার্যক্রম দেখতে
পাবেন। আপনার চ্যানেলে গত ২৮ দিনে কত ভিজিটর আসলো, কত জন ব্যক্তি সাবস্ক্রাইব করল
ইত্যাদি।
Content- এই সেকশনে আপনি জানতে পারবেন যে আপনার চ্যানেলে কি পরিমাণ
ভিডিও আপলোড করা হয়েছে এবং কোন ভিডিওর ভিউ বেশি আসছে, কত জন লাইক কমেন্ট করেছে
সমস্ত কিছু এই সেকশনের মাধ্যমে জানতে পারবেন।
Analytics- এই সেকশনে আপনি
জানতে পারবেন যে আপনার চ্যানেলে কি পরিমাণ ভিউ হচ্ছে, রিয়েল টাইমে কত জন আপনার
চ্যানেল ভিউ করছে? আপনার ওয়াচ টাইম কত, ভিউস কত, সাবস্ক্রাইবার কত ইত্যাদি বিষয়ে
জানতে পারবেন।
Community- এই সেকশনের মাধ্যমে আপনি আপনার ভিউয়ারসদের কমেন্টস
এর রিপ্লাই দিতে পারবেন।
Copyright- আপনার চ্যানেলে যদি কোনো কারণে কপিরাইট আসে তাহলে আপনি এই সেকশনে এসে
তা রিমুভ করার জন্য রিকয়েস্ট করতে পারবেন।
Earn- এই সেকশনে আপনি আপনার চ্যানেল থেকে কত পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন তা এখানে দেখতে পারবেন।
Customization-এই সেকশনে আপনি যদি পুনরায় আপনার চ্যানেলকে কাস্টমাইজ করতে চান তাহলে এই সেকশন থেকে করতে পারবেন।
Audio Library- আপনি যদি আপনার কোনো ভিডিওতে কোনো মিউজিক যোগ করতে চান তাহলে এই সেকশন থেকে আপনার পছন্দমতো মিউজিক ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। এগুলো মিউজিক সম্পূর্ণ কপিরাইট ফ্রি।
এছাড়াও আপনি Settings অপশনে ক্লিক করে আরো কিছু তথ্য যুক্ত করতে পারবেন। এই সেটিংস অপশনে আপনি আপনার চ্যানেলের বেসিক ও অ্যাডভান্স সেটিংস কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
Earn- এই সেকশনে আপনি আপনার চ্যানেল থেকে কত পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন তা এখানে দেখতে পারবেন।
Customization-এই সেকশনে আপনি যদি পুনরায় আপনার চ্যানেলকে কাস্টমাইজ করতে চান তাহলে এই সেকশন থেকে করতে পারবেন।
Audio Library- আপনি যদি আপনার কোনো ভিডিওতে কোনো মিউজিক যোগ করতে চান তাহলে এই সেকশন থেকে আপনার পছন্দমতো মিউজিক ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। এগুলো মিউজিক সম্পূর্ণ কপিরাইট ফ্রি।
এছাড়াও আপনি Settings অপশনে ক্লিক করে আরো কিছু তথ্য যুক্ত করতে পারবেন। এই সেটিংস অপশনে আপনি আপনার চ্যানেলের বেসিক ও অ্যাডভান্স সেটিংস কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়?
ইউটিউব চ্যানেল থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু ইনকাম শুরু করার জন্য আপনাকে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। যেমন- আপনি আপনার চ্যানেলে অন্য কারো ভিডিও আপলোড করতে পারবেন না, সব সময় নিজের মতো করে নিজের চেষ্টায় সমস্ত ভিডিও তৈরি করবেন এবং তা আপলোড করবেন। ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করার শর্ত হলো আপনার চ্যানেলে সর্বনিম্ন ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে এবং গত ২৮ দিনে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।
এই শর্ত যদি আপনার চ্যানেলে ফিল আপ হয়ে যায় তাহলে আপনি এডসেন্স এর জন্য আবেদন
করতে পারবেন। এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে এই শর্ত ফিল আপ করার জন্য কতগুলো ভিডি
আপলোড করতে হবে? এর জন্য নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। কারণ আপনি যদি ভালো কোয়ালিটির
একটি ভিডিও বানাতে পারেন তাহলে আপনি একটি ভিডিওর মাধ্যমেই এই শর্ত পূরণ করতে
পারবেন আবার অনেকের ৫০ থেকে ১০০ টা ভিডিও আপলোড করেও হতে পারে। মোট কথা হলো এই
শর্ত পূরণের জন্য কয়টি ভিডিও আপলোড করতে হবে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে বলা যায় না।
আপনি চেষ্টা করবেন যেন সমস্ত ভিডিও ভালো মানের হয়। মানুষ দেখে যেন কিছু শিখতে
পারে।
এডসেন্স এর মাধ্যমে ইনকাম- এই ইনকামের জন্য আপনাকে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম এর শর্ত পূরণ করতে হবে। তাহলে আপনি এর মাধ্যমে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
ভিডিও এডিটিং সার্ভিস- আপনি যদি ভালো ভাবে ভিডিও এডিটিং করতে পারেন তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আপনার দক্ষতা শেয়ার করে ভিডিও এডিটিং সার্ভিস প্রদান করতে পারেন। এর মাধ্যমেও অনেক ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিশেষ করে দেখবেন বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক প্লট ক্রয় বিক্রয় হয়। আপনি চাইলে তাদের কাছ থেকে এই প্লট ক্রয় বিক্রয়ের কাজ নিয়ে ভালো ভাবে ভিডিও করে দিতে পারেন। এতে আপনার ইনকামের পাশাপাশি পরিচিতিও বৃদ্ধি পাবে।
ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস- আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কোনো কাজের উপরে ভালো দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে এই ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দিতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং- আপনার চ্যানেলটি যদি ভালো পরিচিতি লাভ করে তাহলে আপনি এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ইনকাম করতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানীর পণ্য বা সার্ভিস প্রচার করতে হবে।
ইউটিউব চ্যানেল থেকে কোন কোন উপায়ে ইনকাম করা যায়?
ইউটিউব চ্যানেল থেকে চাইলে আপনি অনেক উপায়ে ইনকাম করতে পারেন। তবে সর্বপ্রথম কাজ হবে আপনার চ্যানেলের মনিটাইজেশন অন করা। একবার মনিটাইজেশন অন করতে পারলেই আপনি অনেক উপায় অবলম্বন করে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই প্রথমে মনিটাইজেশনের উপর ফোকাশ দিতে হবে। আপনি ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে যেভাবে ইনকাম করতে পারবেন তা হলো-এডসেন্স এর মাধ্যমে ইনকাম- এই ইনকামের জন্য আপনাকে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম এর শর্ত পূরণ করতে হবে। তাহলে আপনি এর মাধ্যমে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
ভিডিও এডিটিং সার্ভিস- আপনি যদি ভালো ভাবে ভিডিও এডিটিং করতে পারেন তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আপনার দক্ষতা শেয়ার করে ভিডিও এডিটিং সার্ভিস প্রদান করতে পারেন। এর মাধ্যমেও অনেক ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিশেষ করে দেখবেন বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক প্লট ক্রয় বিক্রয় হয়। আপনি চাইলে তাদের কাছ থেকে এই প্লট ক্রয় বিক্রয়ের কাজ নিয়ে ভালো ভাবে ভিডিও করে দিতে পারেন। এতে আপনার ইনকামের পাশাপাশি পরিচিতিও বৃদ্ধি পাবে।
ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস- আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কোনো কাজের উপরে ভালো দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে এই ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দিতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং- আপনার চ্যানেলটি যদি ভালো পরিচিতি লাভ করে তাহলে আপনি এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ইনকাম করতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানীর পণ্য বা সার্ভিস প্রচার করতে হবে।
স্পন্সার শিপ করে- অনেক সময় আমরা অনেক ইউটিউব চ্যানেলে দেখে থাকি যে তারা
তাদের ভিডিওতে বলে থাকে যে "এই ভিডিওটিতে স্পন্সার করেছে পিএম ড্রিম আইটি, তাদের
কাছে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সমস্ত সার্ভিস স্বল্প মূল্যে পাবেন ইত্যাদি" এই
ভাবে স্পন্সারশিপের মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কোর্স বিক্রয়-
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কোনো বিষয়ের উপর দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি
ভিডিও তৈরির মাধ্যমে আপনার চ্যানেলে কোর্স বিক্রয় করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ব্যাকগ্রাউন্ড
ফুটেজ- আপনার কাছে যদি ভালো মানের একটি ক্যামেরা থাকে তাহলে আপনি সেই ক্যামেরার
মাধ্যমে কোনো একটি জায়গার ভালো দৃশ্য ভিডিও করে সেখানে শুধু মিউজিক এড করে সেটি
লাইসেন্স করে বিক্রয় করতে পারবেন। এই গুলো ফুটেজ সাধারণত ব্যাকগ্রাউন্ড এর জন্য
ব্যবহারিত হয়ে থাকে।
পিন কমেন্ট- আপনার চ্যানেলে যদি প্রতিদিন বা প্রতিনিয়ত
অনেক ভিজিটর এসে থাকে তাহলে আপনি কারো কমেন্ট টাকার বিনিময়ে আপনার ভিডিওর কমেন্ট
সেকশনের প্রথমে পিন করে রাখতে পারেন।
এছাড়াও আরো কিছু উপায় রয়েছে যেগুলোর
মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে উপরে যেগুলো আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো বেস্ট
উপায়। এই উপায়গুলো বর্তমানে অনেকেই ব্যবহার করে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। তাই
আপনিও চাইলে এই পন্থা গুলো অবলম্বন করতে পারেন।
ফোনের মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম করা সম্ভব?
ফোনের মাধ্যমেও ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে ইনকাম করা সম্ভব। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে যে শর্তগুলো মেনে কাজ করতে হয় ঠিক একইভাবে ফোনের মাধ্যমেও ঠিক একই শর্ত মেনে আপনাকে কাজ করতে হবে। তবে বর্তমানে ফোন ব্যবহার কারীর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আপনি যদি ফোন দিয়ে ফোন ইউজারদের জন্য ভিডিও তৈরি করে আপলোড করে তা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা ভিজিটর আনতে পারেন তাহলে আপনি ফোনের মাধ্যমেও ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
যাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কেনার সক্ষমতা নেই তাদের কাছে যে মোবাইল ফোন রয়েছে
সেটি ব্যবহার করেই ভিডিও তৈরি ও আপলোড করতে পারেন। আপনি কম্পিউটার দিয়েই ইউটিউব
চ্যানেল খোলেন আর মোবাইল ফোন দিয়েই খোলেন কোনো সমস্যা নেই কিন্তু আপনাকে বিজনেস
ইমেইল ব্যবহার করেই চ্যানেল খোলার পরামর্শ আমরা দিব। কারণ ভবিষ্যতে যদি আপনি কোনো
কারণ বশত আপনার চ্যানেল বিক্রয় করে দিতে চান তাহলে আপনার কোনো রকম সমস্যা হবে না।
পার্সোনাল ইমেইল দিয়ে খুললে অনেক সময় পার্সোনাল তথ্য চুরি হয়ে যাবার ভয় থাকে। তাই
এই ব্যপারে একটু সতর্ক থাকা ভালো।
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেলে ভিজিটর আনবেন?
ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করার পর আমরা দেখি যে আমাদের চ্যানেলে কোনো ভিউস আসছে না সাবস্ক্রাইবারও আসছে না। তখন আমাদের ভিডিও তৈরি করার মন মানসিকতা হারিয়ে যায়। আপনার চ্যানেলে বা ভিডিওতে ভিজিটর আনতে হলে আপনাকে আপনার ভিডিও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে হবে। যেমন- ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, পিন্টারেস্ট, টুইটার ইত্যাদি অনেক সোশ্যাল মিডিয়া আছে। সেগুলোতে আপনার ভিডিও শেয়ার করলে দেখবেন আপনার চ্যানেলে অনেক ভিজিটর আসা শুরু করেছে। এভাবে আপনি প্রতিনিয়ত ভিডিও তৈরি করবেন এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন তাহলেই আপনার চ্যানেলে ভিজটর আসা শুরু করবে।আর একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে সেটি হলো আপনার ইউটিউব চ্যানেল এবং
প্রতিটা ভিডিওর এসইও করতে হবে। এসইও করলে আপনার ভিডিও খুব দ্রুত র্যাঙ্ক করবে।
তাই আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে এসইও করতে হয় সেটি জানতে হবে। এই এসইও করার
জন্য আপনাকে প্রথমেই ভালো ভালো কিওয়ার্ড বাছাই করতে হবে। কিওয়ার্ড বাছাই করার পর
আপনাকে সেইগুলো কিওয়ার্ড ভালোভাবে আপনার ভিডিও ডেসক্রিপশনে এবং চ্যানেল
ডেসক্রিপশনে প্রয়োগ করতে হবে। তাহলেই দেখবেন যত দিন যাবে ততদিনই আপনার চ্যানেল
মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করবে।
শেষ কথাঃ কিভাবে প্রোফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়? নিজের ডিভাইস দিয়ে
কিভাবে প্রোফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়? নিজের ডিভাইস দিয়ে এই পোস্টটি পড়ার
জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি ইউটিউব
সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি কোনো জায়গায়
বুঝতে না পারেন তাহলে নিচের কমেন্টে জানাতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব আপনার সমস্যা
সমাধানের জন্য।
আমাদের এই পিএম ড্রিম আইটি ওয়েবসাইটে আপনি আরো অনেক ধরনের
পোস্ট পাবেন যেগুলো আপনার জীবনকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। তাই ভালো কিছু শিখতে
হলে অবশ্যই আমাদের এই সাইটটি ফলো করে আমাদের পাশেই থাকবেন তাহলে আমাদের এই
ওয়েবসাইটে যে সমস্ত নতুন নতুন তথ্য আপডেট করা হবে সেগুলো আপনি সবার আগে পেয়ে
যাবেন। আবারো আপনাকে অনেক ধৈর্য ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও
কৃতজ্ঞতা জানাই।
পি এম ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url