বিনা পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমান সময়ে চাকরি পাওয়া কঠিন হয়ে যাওয়ায় অনেকেই ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে। যার জন্য আমরা আজকে আলোচনা করবো বিনা পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে। তবে যে কোনো ব্যবসা করার জন্য যেইটা আগে প্রয়োজন তা হলো বিনিয়োগ। বিনিয়োগ অর্থ হতে পারে আবার শ্রম ও হতে পারে। 

বিনা-পুঁজিতে-ব্যবসার-আইডিয়া

অর্থ না থাকলেও নিজের শ্রম এর মাধ্যমে কোনো টাকা ছাড়াই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। শুনতে অবাক লাগলেও আজকাল এমন অনেকেই করছে। আজ আমরা আলোচনা করবো নিজের শ্রম, দক্ষতা, সময় বিনিয়োগ করার মাধ্যমে বিনা পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া। তাই দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।  

পোস্ট সূচিপত্রঃ বিনা পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া

বিনা পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া

বিনা পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া কথাটা পড়েই মনে মনে ভাবছেন যে এটাও কি সম্ভব? বর্তমানে টাকা পয়সা ছাড়া কিছু করা সম্ভব না হলেও কিছু কিছু ব্যবসা আছে যেগুলো আপনি বিনা পুঁজিতেই শুরু করতে পারবেন। ব্যবসা করার পরিকল্পনা বর্তমান সময়ে কম বেশি সবাই ভাবে। তবে টাকার কথা চিন্তা করে অনেকেই অনাগ্রহী হয়ে পড়ে। সবাই মনে করে ব্যবসা করতে অনেক টাকার প্রয়োজন তবে এমন অনেক ব্যবসাই আছে যা বিনা পুঁজিতে করা যায়। এর মধ্যে রয়েছে রিসেলিং বা ড্রপসিপিং ব্যবসা, ব্লগিং বা কন্টেন্ট রাইটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার, ইউটিউব চ্যানেল এর মাধ্যমে ব্যবসা।


এছাড়াও রয়েছে ম্যাচমেকিং সার্ভিস ব্যবসা, অনলাইন কোচিং বা টিউশন করা, পেট সিটিং সার্ভিস দেয়া, বেবি সিটিং সার্ভিস দেয়া, ডাটা এন্ট্রি সার্ভিস এর ব্যবসা, ডিজিটাল ইমেজ বিক্রি করা, ওয়েবসাইট তৈরি করা, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করা, বুককিপিং করা, ট্যুর গাইডিং করা, মেডিকেল ফ্যাসিলিটি কনসালটেশন সার্ভিস দেয়া, ক্যারিয়্যার গাইডেন্স সার্ভিস দেয়া ইত্যাদি। এছাড়াও নারীদের জন্য রয়েছে বেকিং এর ব্যবসা, হ্যান্ডিক্রাফট করা, অনলাইন এ কাপড় বিক্রি করা, হোম মেইড ফুড ও ক্যাটারিং সার্ভিস দেয়া, বিউটি প্রোডাক্ট ও পার্সোনাল কেয়ার দেয়া ইত্যাদি। এ সব গুলোই বিনা পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া। 

অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন ব্যবসার আইডিয়া

রিসেলিং বা ড্রপশিপিং করাঃ এইখানে আপনি অনলাইন এ যে কোনো পণ্য বিক্রি করতে পারেন। আপনাকে শুধু পণ্যটি ডেলিভারি করতে হবে অর্ডার আসলে। রিসেলিং বা ড্রপসিপিং এর মাধ্যমে বিনা বিনিয়োগ এ অর্থ উপার্জন করা যায়। ধরুন একটি সাধারণ দোকানে একটি পণ্য বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়, তাদের অনুমুতি নিয়ে সেই পণ্যটির দাম আপনি আপনার ওয়েবসাইট এ দিলেন ৬০০ টাকা। যদি আপনি পণ্যটি সেল করতে পারেন তাহলে আপনার লাভ হবে ২০০ টাকা। পণ্যটি ডেলিভারির দায়িত্ব সেই দোকান নিবে যেইখান থেকে আপনি ৪০০ টাকায় কিনেছেন এই ক্ষেত্রে আপনি কোনো টাকা ইনভেস্ট না করেই ২০০ টাকা পাচ্ছেন। 

ব্লগিং বা কন্টেন্ট রাইটিংঃ ব্লগিং বা কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য আপনার লিখার দক্ষতা ভালো হতে হবে। আপনার লিখার দক্ষতা যদি ভালো হয় তাহলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ আপনি আপনার লেখা দেয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এর জন্য কোনো অর্থ বিনিয়োগ করার প্রয়োজন পড়বে না। ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার, মিডিয়াম এগুলো হলো বিভিন্ন ব্লগ লিখার সাইট। আপনি যদি পাঠক কে আকৃষ্ট করতে পারেন তাহলে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন এর মাধ্যমে।

বিনা-পুঁজিতে-ব্যবসার-আইডিয়া

ইউটিউব চ্যানেল এর মাধ্যমেঃ আপনি যদি সুন্দর ও ব্যতিক্রম ধরণের ভিডিও বা কনটেন্ট বানানোতে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ইউটিউব এ ভিডিও দেয়ার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে আর ভিডিও দেয়া বন্ধ করা যাবে না।  ইউটিউবে মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয় তাই ইউটিউবে মনিটাইজেশন না পাওয়া পর্যন্ত ভিডিও দিতে থাকতেই হবে। ইউটিউবে মনিটাইজেশন পেয়ে গেলে টাকা আয় শুরু হয়ে যাবে। 

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারঃ বিভিন্ন ব্র্যান্ডগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের পণ্যগুলো সেল করে থাকে। এই সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট গুলো পরিচালনা, পোস্ট তৈরী করা ও প্রচার এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার নিযুক্ত করে যাদের এই সব কাজ এ পারদর্শী হতে হয়। আপনি যদি এইসব কাজ এ পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার এর মাধ্যমে এই কাজ এ যুক্ত হয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন। চাইলে নিজের নামে সোশ্যাল মিডিয়া এজেন্সীও খুলতে পারেন এবং বিভিন্ন কোম্পানিগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। 

ম্যাচমেকিং সার্ভিস ব্যবসাঃ ম্যাচমেকিং সার্ভিসকে সহজ ভাষায় ঘটক ব্যবসাও বলা যেতে পারে। বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করার এইটা একটা ভালো উদ্যোগ। এই সার্ভিস এর মাধ্যমে বিয়ের জন্য পার্টনার খুঁজে দেয়া হয়। এমন অনেক ছেলে মেয়েই আছে যারা পরিবারের পছন্দে বিয়ে করে তাদের জন্য এই সার্ভিস অনেক কাজে দেয়। আপনি যদি সুন্দর করে কথা বলতে পারেন বা মিষ্টভাষী হন তাহলে আপনি এই ব্যবসার মাধ্যমে বিনা বিনিয়োগ এ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।


অনলাইন কোচিং বা টিউশন করাঃ আপনি যদি পড়াশোনা বা যে কোনো বিষয় এ পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অনলাইন এ শেখানোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন বা আপনি আপনার বাসাতে বা যে ছাত্র বা ছাত্রীকে পড়াবেন তাদের বাসায় গিয়েও পড়াতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার বোঝানোর দক্ষতা থাকতে হবে এবং কথা বলার ধরণ ভালো হতে হবে। তাহলেই আপনি এই কাজ করে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ডাটা এন্ট্রি সার্ভিস এর ব্যবসাঃ এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিভিন্ন ডাটা এন্ট্রি সার্ভিসকে দায়িত্ব দেন ডাটা এন্ট্রি করানোর জন্য। তারা এই কাজের জন্য কর্মচারী রাখেন না। বিনা পুঁজিতে এই কাজ যে কেউ শুরু করতে পারেন। পড়ে যখন আপনি এই কাজ এ দক্ষ হয়ে যাবেন তখন আপনি কর্মচারী রেখেও এই কাজ করতে পারবেন।

ডিজিটাল ইমেজ বিক্রি করাঃ আপনি যদি আঁকাআঁকিতে পারদর্শী হন অথবা আপনি যদি ইমেজ এডিটিং করতে পারেন সুন্দর ভাবে তাহলে আপনি অনলাইন এ ইমেজ বিক্রি করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমান সময়এ এই ইমেজগুলোর অনেক চাহিদা রয়েছে। এর জন্য আপনাকে গুগলে সার্চ দিয়ে ভালো মানের ইমেজ সেলিং প্লাটফর্মগুলো খুঁজে বের করতে হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করাঃ গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করা হয় ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর ইত্যাদি সফটওয়্যারগুলোর মাধ্যমে। এই সফটওয়্যারগুলোতে যদি আপনি দক্ষতা অর্জন করেন তাহলে জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আপনি কাজ গ্রহণ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

মেডিকেল ফ্যাসিলিটি কনসালটেশন সার্ভিস দেয়াঃ মেডিকেল ফ্যাসিলিটি কনসালটেশন সার্ভিস সাধারণত ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট নিতে ও রোগী দেখানোর জন্য সিরিয়াল দিতে সাহায্য করে। কোন হাসপাতালে কোন ডাক্তার রোগী দেখেন, হাসপাতালে খরচ কেমন, ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট দেয়া এগুলো সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দিয়ে থাকে মেডিকেল ফ্যাসিলিটি কনসালটেশন সার্ভিস। এর মাধ্যমে টাকা আয় করা সম্ভব। 

ক্যারিয়্যার গাইডেন্স সার্ভিস দেয়াঃ যারা সুন্দরভাবে কথা বলতে পারে, যাদের সমস্যা সমাধান ও বুঝানোর ক্ষমতা আছে তারা ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং সার্ভিস দেয়ার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। যারা নিজেদের লক্ষ্য ঠিক করতে পারে না তাদের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করতে সাহায্য করার মাধ্যমে সহায়তা করা হয়।

অন্যান্য ব্যবসার আইডিয়া

পেট সিটিং সার্ভিস দেয়াঃ অনেকেই আছেন যারা বাসায় বিভিন্ন পশুপাখি পালেন কিন্তু দূরে কোথাও যাওয়ার সময় এদের সাথে নিয়ে যাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েন, এই সার্ভিসটি তাদের দেয়া হয়। এটির দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তবে অব্যশই এই সার্ভিস টি শুরু করার আগে পশুপাখি রাখার জন্য উপযুক্ত স্থান ঠিক করতে হবে। এর মাধ্যমে টাকা রোজগার সম্ভব। 

বেবিসিটিং সার্ভিস দেয়াঃ এমন অনেক পরিবারই আছে যেখানে স্বামী স্ত্রী উভয়েই চাকরি করেন ফলে তাদের বাচ্চার দেখাশোনা করার জন্য বেবিসিটার এর প্রয়োজন হয়। আপনি যদি বাচ্চাদের প্রতি ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারেন তাহলে আপনি এই কাজের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। 

টুর গাইডের সার্ভিস দেয়াঃ নতুন জায়গায় ঘুরতে গেলে মানুষ টুর গাইড এর সন্ধান করেন, একজন ভালো টুর গাইড থাকলে পর্যটকদের অনেক সুবিধা হয়। আপনার বাসা যদি এমন জায়গায় হয় যেইখানে টুর গাইড এর প্রয়োজন আছে তাহলে সেখানে আপনি এই সার্ভিসটি দেয়ার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন। 

যা যা প্রয়োজন এইসব ব্যবসার ক্ষেত্রে

অনলাইন ভিত্তিক যে কোনো কাজ করার জন্য প্রথমেই লাগবে কম্পিউটার, ল্যাপটপ অথবা মোবাইল ফোন। এর পর প্রয়োজন ভালো ইন্টারনেট কানেকশন, হেডফোন, যেই ভাষায় কাজ করবেন সেই ভাষার জ্ঞান, টাইপিং ভালোভাবে জানা ইত্যাদি বিষয়। অর্থাৎ আপনি যদি অনলাইনে কোনো ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনার লাগবে একটি ডিভাইস এবং ইন্টারনেট কানেকশন। 


এই দুটো যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে ব্যবসা করতে পারবেন। তবে কাজ করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই কাজ সম্পর্কে ভালো মতো ধারণা নিতে হবে। তা না হলে কাজ শুরু করার পরে আপনাকে অনেক সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে এবং শেষে দেখবেন যে আপনি ব্যবসা করার ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছেন। এই জন্য ব্যবসা শুরু করার পূর্বে কাজ সম্পর্কে ভালো ধারণা অর্জন করবেন।

যারা যারা করতে পারবেন 

অনলাইন ব্যবসা যে কোনো বয়সের যে কেও করতে পারবেন। যারা চাকরির পাশাপাশি অন্য কিছু করতে চান তারা করতে পারবেন, কলেজ ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী, অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, হাউসওয়াইফ সবাই বিনা পুঁজিতে এইসব কাজ করতে পারবেন। কারণ এই ধরনের ব্যবসা করতে তেমন কিছুর প্রয়োজন হয় না। এর জন্য আপনার শুধু দরকার সাহস এবং কাজ সম্পর্কে জ্ঞান। আপনার কাছে যদি এই দুইটি গুণ থেকে থাকে তাহলে আপনি আজই আপনার পছন্দমতো একটা ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। 

বিনা-পুঁজিতে-ব্যবসার-আইডিয়া

এখন আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে এর জন্য কতটুকু শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হয়? সত্যি কথা বলতে এই অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য আপনার তেমন একটা শিক্ষাগত যোগ্যতার দরকার হয় না। আপনি যদি বিষয়গুলো বুঝতে পারেন এবং সেইমতো কাজ করতে পারেন তাহলেই আপনি পারবেন। কেউ আপনাকে এখানে এসে জিজ্ঞেস করবে না যে আপনি কতদূর পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এখানে মূখ্য বিষয় হলো আপনি অনলাইনে ব্যবসা করার বিষয়গুলো বুঝতে পারছেন কি না।

ব্যবসার জন্য যেসব জিনিস খেয়াল রাখতে হবে 

প্রত্যেকটা ব্যবসারই কিছু না কিছু নিয়ম কানুন থাকে। যেগুলো না মানলে কোনো ব্যবসাতেই লাভবান হওয়া যায় না। এজন্য ব্যবসায় ভালো কিছু করার জন্য আপনাকে প্রথমেই আপনার পছন্দের ব্যবসা সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখতে হবে। ব্যবসার ভালো দিক খারাপ দিক সম্পর্কে জানতে হবে। না হলে আপনি সমস্যার মোকাবেলা করতে পারবেন না। এছাড়াও এসকল ব্যাবসার ক্ষেত্রে কিছু জিনিস খেয়াল রাখা প্রয়োজন তা হলো যে ব্যবসাই করা হোক না কেন তার ধরণ ঠিক রাখা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা, প্রফেশনাল বিসনেস ওয়েবসাইট তৈরী করা। এ ছাড়াও অবশ্যই ধর্যশীল, সৎ হতে হবে এবং ল্যাপটপ, কম্পিউটার সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে ও  বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী হতে হবে। অল্পতেই হতাশ হলে চলবে না। 

নারীদের জন্য ব্যবসা

অনলাইনে ব্যবসা করে এখন নারীরাও টাকা উপার্জন করতে পারেন। বাড়তি আয়ের উৎস হিসাবে এইসব মাধ্যম কাজে আসে। এর মধ্যে রয়েছে বেকিং, হ্যান্ডিক্রাফট এর কাজ, অনলাইনে পোশাক বিক্রি করা, বাসায় তৈরী খাবার ও ক্যাটারিং সার্ভিস দেয়া, বিউটি প্রোডাক্ট বিক্রি করা ইত্যাদি। ঘরে বসে এখন নারীরাও অর্থ বিনিয়োগ না করে উপার্জন করতে পারেন। 

শেষ কথা: বিনা পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া

বিনা পুঁজিতে কিভাবে ব্যবসা করা যায় তা আমরা এতক্ষণ জানলাম। এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ব্যবসা রয়েছে যা থেকে আয় করা সম্ভব অনলাইন, অফলাইন দুইভাবেই, শুধু প্রয়োজন দক্ষতা। তবে যে কাজটি বেছে নেয়া হোক না কেন সেই কাজে সময় দিতে হবে ও ধর্য সহকারে করতে হবে তাহলে সফলতা আসবে। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন। পুরো আর্টিকেলটি এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পি এম ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url