সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ গাইডলাইন
প্রিয় পাঠক, শুরুতেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের এই সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ
গাইডলাইন আর্টিকেলে । আপনি কি বর্তমানে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবছেন ?
তাহলে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ করে আসুন।
সেখানকার অপরূপ প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে । আজ আমরা সাজেক
ভ্যালি ভ্রমণ কিভাবে কি করবেন একবারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল বিষয় সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব । তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি-
পোস্ট সূচিপত্রঃ সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ গাইডলাইন
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ গাইডলাইন
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ গাইডলাইন আলোচনা শুরু করার আগে সেই স্থান সম্পর্কে একটু
ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করি। সাজেক ভ্যালি রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত। সাজেক রাঙামাটি
জেলায় অবস্থিত হইলেও আপনি খাগড়াছড়ি হয়ে খুব সহজেই যেতে পারবেন। খাগড়াছড়ি থেকে
সাজেকের অবস্থান ৭০-৮০ কিলোমিটার দূরত্ব । খাগড়াছড়ি থাকে সাজেকের দুরত্ব খুব
একটা বেশি না। সাজেকে যাওয়ার পথ আঁকাবাঁকা এবং খাড়া ঢাল বিশিষ্ট । সাজেকের
প্রকৃতি দেখে প্রেমে পড়ার মতন । আপনি যদি প্রকৃতি প্রেমী হয়ে থাকেন আপনি সেই
প্রকৃতির প্রেমে পড়বেন । প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ এর জন্য সাজেক একটি আকর্ষণীয়
স্থান হবে।
আরো পড়ুনঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ গাইড
বাংলাদেশের সুন্দর এবং জনপ্রিয় পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে একটি হলো সাজেক ভ্যালি।
সাজেক ভ্যালি রাঙামাটি জেলার সর্ব উত্তরের মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত। এটি
বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার মধ্যে পড়ে। সাজেক বাংলাদেশের
সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন, যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ১৮০০
ফুট। সাজেক ভ্যালির পরিবেশ `এতটাই মনোমুগ্ধকর যে আপনি মুগ্ধ হইতে বাধ্য প্রতিটা
মূহুর্তে। সেইখানে চারিদিকে মেঘ ভেসে বেড়ায় যেখানে সেখানে। মেঘ এসে আপনাকে ঢেকে
দিতে পারে যখন তখন। আপনার মনে হবে আপনি যেন মেঘের ভেলাই ভাসছেন। এখানে প্রকৃতি
প্রতিটি মুহুর্তে আলাদা আলাদা রূপ ধারণ করে ।
সাজেক ভ্যালিতে কি কি দেখবেন
আপনি যদি প্রকৃতিপ্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে সাজেক আপনার জন্য আকর্ষণীয় এবং
দর্শনীয় স্থান। সাজেকে আপনি ৩ ধরণের আবহাওয়া উপভোগ করতে পারবেন। এইখানে আপনি
কখনো গরম কখনো ঠান্ডা কখনো আবার ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি। আবার সেই বৃষ্টির
মাঝেও সাদা সাদা মেঘগুলো এসে আপনাকে ডেকে দেব। আপনার মনে হবে আপনি যেন
মেঘের ভেলায় করে ভাসছেন। অর্থাৎ আপনি যদি সেখানে যান তাহলে দেখবেন যে সেখানকার
আবহাওয়ার কোনো স্থায়িত্ব খুঁজে পাবেন না।
এখনি দেখবেন রোদ আবার মুহূর্তের মধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। সাজেক এর সবচেয়ে
উঁচু স্থান কংলাক পাহাড়। কংলাক পাহাড়ে গিয়ে আপনি পুরো সাজেককের সৌন্দর্য উপভোগ
করতে পারবেন। কংলাক পাহাড় পর্যটকদের জন্য একটি অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান।
সাজেকের নিচে ঝর্ণা আছে। সাজেকের এর একটি দর্শনীয় স্থান লুসাই গ্রাম। সেখানে
গিয়ে দেখতে পাবেন আদিবাসীদের জীবন যাপন পরিচালনার চিত্র। সাজেকের হেলিপ্যাডে
গিয়ে সূর্যাস্ত দেখতে পারবেন, হেলিপ্যাডে বসে রাতের চাঁদ ও তারায় ভরা আকাশ
উপভোগ করতে পারবেন ।
সাজেক ভ্যালিতে কখন যাবেন
সাজেক ভ্যালিতে ভ্রমণের জন্য নির্দিষ্ট কোন মৌসুম নেই কারণ প্রতিটি মৌসুমে
সাজেকের সৌন্দর্য ভিন্ন ভিন্নভাবে রূপ নেই । প্রতিটি মৌসুমী সাজেকের অপরূপ
সৌন্দর্য আপনি উপভোগ করতে পারবেন । উঁচু উচু সবুজে ঘেরা পাহাড় ঘন কুয়াশার মতো
মেঘের আচ্ছাদন কখনো আবার ঝিরিঝিরি বৃষ্টি এসব কিছু আপনাকে মুগ্ধ করে দেবে
। সাজেকের এই অপরূপ দৃশ্য দুই নয়নে যখন ধারণ করবেন আপনি মুগ্ধ হয়ে
যাবেন ।
তবে মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সাজেকের প্রকৃতির সৌন্দর্য বেশি থাকে । এ
সময় চারিদিকে মেঘ আর মেঘেরা খেলা করে । মেঘে মেঘে ছেয়ে থাকে পুরো
সাজেক ভ্যালি । তবে প্রতিটি মৌসুমেই সাজেক ভ্যালির ভিন্ন ভিন্ন অপরূপ
সৌন্দর্য ফুটে ওঠে । তাই আপনি যে কোন মৌসুমে সাজেক ভ্যালি সৌন্দর্য ভ্রমণ করে
আসতে পারেন ।
সাজেক ভ্যালিতে কীভাবে যাবেন
সাজেক রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও খাগড়াছড়ির দীঘা মেলা হয়ে আপনি খুব
সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন । ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত যেতে হবে তারপর
আপনি চাঁদের গাড়ি বা জিপ গাড়ি করে সাজেকের উদ্দেশ্যে যেতে পারবেন । আর এই
চাঁদের গাড়িতে করে আপনারা অনায়াসেই ১২ থেকে ১৫ জনের মতো যেতে পারবেন । এখানে
একটি ছোট সমস্যা হতে পারে অনেকেরই। এখানে চাঁদের গাড়িগুলো যাত্রী পূরণ হোক বা
না হোক আপনার কাছ থেকে বেশি টাকা নিবে।
আরো পড়ুনঃ সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ২০২৫
আপনারা যদি ৪ থেকে ৫ জন হন তাহলে আপনার কাছ থেকে তারা পুরো গাড়ীর ভাড়াই নিবে
তাই এখানে আপনার প্রথম কাজ হবে অন্য আরেকটি গ্রুপ খোঁজা। তাহলে আপনাদের গ্রুপ
এবং অন্য গ্রুপ মিলে যদি আপনারা ১২ থেকে ১৫ জন হোন তাহলে আপনাদের খরচ অনেকটাই
কম হবে। খাগড়াছড়ি থেকে যাওয়ার পথে বাঘাইছড়িতে আপনাদের সকলকে সেনাবাহিনী চেক
করবে। আপনাদের ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাইবে, কি করেন তা জানতে চাইবে, কেউ
দেশের বাইরে থেকে এসেছে কি না তা জানতে চাইবে। সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে তারা
আপনাকে সাজেক যাওয়ার অনুমতি দিবে।
সাজেক ভ্যালিতে ভ্রমণ খরচ
সাজেক ভ্যালিতে ভ্রমণের খরচ কিছুটা ব্যয়বহুল । ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যেতে নন
এসি বাসের ভাড়া পড়বে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা । আবার খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়া
জন্য চাঁদের গাড়ি ভাড়া হবে ১০ থেকে ১২ হাজারের মতো । তবে কথা বলে কিছুটা
কমানো যেতে পারে । আবার আপনি খাগড়াছড়ি থেকে মোটরসাইকেল রিজার্ভ করেও সাজেক
ভ্যালি যেতে পারবেন । সেক্ষেত্রে আপনি দরদাম করে নিতে পারবেন ।
সাজেক ভ্যালিতে কোথায় থাকবেন
সাজেক ভ্যালিতে যাওয়ার আগে বিভিন্ন রিসোর্ট গুলো বুক করতে হবে । কারণ বুকিং না
দিলে আপনি গিয়ে থাকার জন্য রিসোর্ট খুঁজে নাও পেতে পারেন তাই আগে থেকেই বুকিং
দিয়ে রাখাটাই ভালো । চলুন তাহলে এবার সাজেক ভ্যালির বিভিন্ন রিসোর্ট গুলো
নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক ।
মেঘ মাচাং রিসোর্টঃ এই রিসোর্ট থেকে খুব সুন্দর ভিউ দেখা যাই আবার কম
খরচে আপনারা থাকতে পারবেন । এই কটেজের ভাড়া ২৫০০-৪৫০০ টাকা ।
প্রতিটা কটেজ ৩-৪ আর মতো থাকা যাবে। খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও আছে ।
মেঘপঞ্জি রিসোর্টঃ মেঘপুঁজিতে আছে ৪টা কর্টেজ। এই রিসোর্ট থেকেও সাজেক ভ্যালির
সুন্দর ভিউগুলো দেখতে পাবেন। এইখানকার ভাড়া ৪০০০-৪৫০০। এই কর্টেজ ৩-৪ জন করে
থাকতে পারবেন অনায়াসে।
জুমঘর ইকো রিসোর্টঃ এই রিসোর্টও অন্য রিসোর্টের মতো বেস সুন্দর এবং থাকার জন্য
উপযুক্ত। এই রিসোর্টে ৬টি কর্টেজে কাপল রুম আছে। এইখানের ভাড়া ৪০০০ টাকা।
নিরিবিলি রিসোর্টঃ নিরিবিলি রিসোর্ট সাজেকের অন্য সব রিসোর্ট এর মধ্যে
অন্যতম । পাহাড়ের চূড়ায় বসে মেঘের ভেলায় ভাষার অনুভব করতে পারবেন । এই
রিসোর্ট কোর্টেজে ৮টি রুম রয়েছে । রাউন্ড কর্টেজ ৬ টি রয়েছে ।
সেমি ডুপ্লেক্স কর্টেজ ২ টি । রয়েছে এখানের ভাড়া ৫০০০-৬৫০০
টাকা ।
মেঘ পিয়ন রিসোর্টঃ মেঘে পিয়ন রিসোর্ট টি সাজেকের রুইলুই পাড়ায়
রয়েছে । এই রিসোর্টে থেকে আপনি ভারতের মিজোরাম ভিউটি উপভোগ করতে পারবেন
। এই রিসোর্টেও অন্যান্য রিসোর্ট এর মত সকালের নাস্তা খাবারের ব্যবস্থা ও রুম
সার্ভিসের ব্যবস্থাও রয়েছে এই রিসোর্টের ভাড়া ৪০০০-৪৫০০ টাকা ।
সাজেক ভ্যালিতে কোথায় খাবেন
সাজেক ভ্যালির রিসোর্ট গুলোতেও খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে । এছাড়াও বিভিন্ন সব
হোটেলগুলো রয়েছে যেখানে গিয়ে আপনি মেনু কার্ড দেখে আপনার পছন্দমত
বিভিন্ন খাবার আপনি অর্ডার করে খেতে পারবেন । আবার আপনি চাইলে সাজেকের জনপ্রিয়
ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলো খেয়ে দেখতে পারেন যেমন বাসকোরাল , ব্যাম্বো চিকেন ,
ব্যাম্বো চিকেন বিরিয়ানি , ব্যাম্বোটি , ব্যাম্বো সবজি, এছাড়াও বিভিন্ন
রকমের পাহাড়ি ফলমূল গুলো খাইতে পারেন ।
এইসব ফলমূল গুলো দেখতেও যেমন সুন্দর খেতেও তেমন সুস্বাদু । আবার আপনি চাইলে
রাতে সাজেকের স্পেশাল বারবিকিউটাও খেয়ে দেখতে পারেন যা অনেক মজাদার ।
সেখানে আপনার খাবার দাবারের খরচ রয়েছে। যেটা সম্পূর্ণ আপনার উপরেই নির্ভর করবে।
তবে সেখানকার খাবার দাবারের দাম অন্যান্য জায়গার তুলনায় অনেক বেশি। তাই খাবার
খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই দাম সম্পর্কে জেনে নিবেন তারপর খাবেন না হলে পেমেন্ট করার
সময় একটু ঝামেলা হতে পারে।
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণে করণীয় ও সর্তকতা
সাজেক ভ্যালি যাওয়ার সময় আমাদেরকে অবশ্যই কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে। সেগুলো
যেহেতু পাহাড়ি এলাকা তাই চাঁদের গাড়িতে যাওয়ার সময় অবশ্যই নিজেকে বেশি উত্তেজনা
করা যাবে না। কারণ কোনো কারণে যদি সেখানে কোনো দূর্ঘটনা ঘটে যায় তাহলে আপনার
প্রাণ সংশয়ও হতে পারে। তাই নিজেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করা জরুরী। এছাড়া আরো
কিছু রয়েছে। যেমন-
- সাজেক ভ্যালিতে রবি ও এয়ারটেল সিমে নেটওয়ার্ক থাকে তাই রবি ও এয়ারটেল সিম নেওয়ার চেষ্টা করবেন ।
- সাজিকে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই তাই সাথে পাওয়ার ব্যাংক নেওয়ার চেষ্টা করবেন ।
- পাহাড়ি আদিবাসীদের ছবি তোলার আগে অবশ্যই তাদের অনুমতি নিবেন ।
- পাহাড়ি আদিবাসীরা বেশ সহজ সরল তাই তাদের সাথে ভদ্র বিনয়ী আচরণ করবেন ।
- সাজেকের রাস্তা আঁকাবাঁকা তাই যাওয়ার পথে চাঁদের গাড়ি বা জিপ গাড়ির ছাদের ওপরে বসে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন ।
- সাজেকে যাবার সময় সেনাবাহিনীরা আপনার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই তাই অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড সঙ্গে রাখবেন।
- আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন ফোন ক্যামেরা আইডি কার্ড ইত্যাদি নিজ দায়িত্বে রাখবেন ।
শেষ কথাঃ সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ গাইডলাইন
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ গাইডলাইন গুলোর তথ্য আমরা এই আর্টিকেলে জানতে পেরেছি
। আমরা আরও জানতে পেরেছি সাজেক ভ্যালিতে কিভাবে যাব কখন যাব কোথায় থাকবো খাবো
কি কি দেখব এবং সাজেক ভ্যালি পাহাড় সবুজে ঘেরা প্রকৃতি মেঘের খেলা মেঘাচ্ছন্ন
পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হব । আর যাওয়ার আগেই অবশ্যই রিসোর্ট বুকিং করে যাব এবং
উপরিক্ত আলোচিত বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখব ।
আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো
করে রাখবেন আরো নতুন নতুন তথ্য তাহলে জানতে পারবেন । পুরো আর্টিকেলটি যদি আপনি
পড়ে থাকেন তাহলে আপনি সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ গাইডলাইন কি তা ভালোভাবে বুঝতে
পেরেছেন । যা সাজেক ভ্যালি ভ্রমণে আপনার জন্য অনেক সুবিধা হবে । আমাদের
এই ওয়েবসাইটে আমরা তথ্য ও প্রযুক্তি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, ব্যবসা,
অনলাইন ইনকাম, ইসলামিক শিক্ষা, গর্ভকালীন টিপস ইত্যাদি বিষয়ে
নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতক্ষণ ধৈর্য
সহকারে আমাদের সাথে থাকার জন্য । আপনি চাইলে এই পোস্টটি আপনার পরিচিতদের সাথে
শেয়ার করতে পারেন যেন তারাও উপকৃত হতে পারে ।



পি এম ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url